gramerkagoj
সোমবার ● ২০ মে ২০২৪ ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
রাফাতে ইসরায়েলি হামলার অর্থ হবে ‘আরও মানবিক বিপর্যয়’: জাতিসংঘ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪, ০৩:২১:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2024-05-07_6639ef85735d2.jpg

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফা শহরে ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালালে তার অর্থ হবে ‘আরও মানবিক বিপর্যয়’, এমন মন্তব্যই করেছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস।
গাজা উপত্যকার এই শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অনুপ্রবেশের বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস সোমবার দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অনুপ্রবেশের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘রাফার পূর্ব অংশকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের আসন্ন অনুপ্রবেশের বিষয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি এমন একটি শহর যেখানে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন এবং তারা ইতোমধ্যেই সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।’
ফ্রান্সিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আসুন বিষয়টি স্পষ্ট করা যাক - (রাফাতে) এই ধরনের অবিবেচনাপূর্ণ অভিযানের অর্থ হচ্ছে- আরও মানবিক বিপর্যয় এবং কোনও কিছুর মাধ্যমেই এটিকে ন্যায্যতা দেওয়া যায় না।’
এর আগে সোমবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের একাংশ খালি করে দিতে সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্দেশের পর রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে বহু মানুষ সরে যেতে শুরু করেন।
পরে গাজার সঙ্গে মিসরের সীমান্তে অবস্থিত রাফা ক্রসিংয়ের দখল নেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। রাফা ক্রসিংয়ের একপাশে গাজা, অন্যপাশে মিসরের সিনাই উপদ্বীপ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর আগ পর্যন্ত এই সীমান্তপথটিকে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ বলে বিবেচনা করা হতো। কারণ এই সীমান্তপথ দিয়েই খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সব সামগ্রীর সরবরাহ প্রবেশ করত গাজায়।
ফ্রান্সিস আরও বলেছেন, ‘এই দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে গাজায় আটক সব বন্দির নিঃশর্ত মুক্তিসহ স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময় এটিই।’

আরও খবর

🔝