শিরোনাম |
❒ চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
তীব্র গরমে উবে গেছে সব। সূর্যের তাপ সবকিছু যেন গ্রাস করছে। স্বস্তির জায়গাটুকু নেই। উচ্ছ্বাস উন্মাদনাও হারিয়ে গেছে। তারপরও বৈরি বাতাস ও তাপদাহ উপেক্ষা করে চলছে যশোরের চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কর্মকান্ড। প্রার্থীরা গরমের সাথেই যুদ্ধ করে নেমে পড়েছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। এবার নির্বাচনে আওয়ামী ঘরানা ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল থেকে প্রার্থী নেই। ফলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক বা ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভারতঘেষা চৌগাছা উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। ১৯৭৭ সালে ঝিকরগাছা, কালীগঞ্জ ও মহেশপুর থানার কিছু অংশ নিয়ে এই থানা গঠিত হয়। পরবর্তীতে এটি ১৯৮২ সালে উপজেলায় উন্নীত হয়। বর্তমানে প্রায় চার লাখ জনসংখ্যা চৌগাছা উপজেলায়। তাদের মধ্যে থেকে ভোটার এক লাখ ৯৯ হাজার চার’শ ২৮। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ এক হাজার ৬৫ ও নারী ভোটার ৯৮ হাজার তিন’শ ৬৮। মোট ভোট কেন্দ্র ৮১ ও বুথ রয়েছে ৫’শ ৭৮টি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সরাসরি দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মৃধাপাড়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. এম মোস্তানিছুর রহমান (মোটরসাইকেল) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান (আনারস)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান (তালা) ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও শামীম রেজা (বৈদ্যুতিক বাল্ব)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে মাঠে আছেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নিহত যুবলীগ নেতা ইমামুল হাসান টুটুলের স্ত্রী আকলিমা খাতুন লাকি (কলস), যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক নাছিমা খাতুন (হাঁস), বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজনিন নাহার (বৈদ্যুতিক পাখা), যুব মহিলালীগ নেত্রী কামরুন্নাহার শাহিন (ফুটবল) ও রিপা ইসলাম (প্রজাপতি)। প্রার্থীদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।
নির্বাচন উপলক্ষে তীব্র গরম উপেক্ষা করে প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি গ্রাম, পাড়া, মহল্লা ও হাটবাজারে নিজেদের জন্যে ভোট প্রার্থণা করছেন। চৌগাছা উপজেলা ধান চাষে সমৃদ্ধ। ফলে চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠে রয়েছে ইরি-বোরো ধান। সোনালী বর্ণ ধারণ করায় পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষক। সে কারণে দিনের বেশিরভাগ সময়ে ভোটারদেরকে বাড়ি বা আশপাশে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে প্রার্থীরাও কৌশল পরিবর্তন করেছেন। তারা অধিকাংশ সময় বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। কুশল বিনিময়, কুলাকুলি, করমর্দনতো চলছেই। তাপদাহের সাথে যুদ্ধ করে নির্বাচনী যুদ্ধে নিজেদেরকে সুস্থ রাখতে সাথে রাখছেন পানি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভোট প্রার্থণা চালানো হচ্ছে। প্রার্থীরা নিজেদের ফেসবুকে প্রচারণার তথ্য তুলে ধরছেন। এছাড়া লিফলেট, পোস্টার ঝুলানো হয়েছে। প্রচার মাইকও চলছে সমানতালে।