তৃতীয় টি-২০ ম্যাচেও জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ জয়ের ফলে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় নাজমুল হোসেন শান্তদের। মঙ্গবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ে পরাজিত হয়েছে নয় রানে।
১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে ছিল জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানের মাথায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার জয়লর্ড গাম্বিকে। তিনি আট বলে করেন নয় রান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান তানজিম হাসান সাকিব। নিজেই ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ব্রায়ান বেনেটকে। তার আগে তিনি করেন আট বলে পাঁচ রান। পরের ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে ব্যক্তিগত সাত রানে বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা গ্লাভসবন্দী হন উইকেটরক্ষক জাকের আলীর হাতে এক রান করে।
এক প্রান্ত আগলে ছিলেন ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি। ১১তম মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে আনা হয়। এ বোলার তুলে নেন ২৬ বলে ৩১ করা মারুমানিকে। ১৬ বলে ১১ করে তাসকিনকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন ক্লাইভ মাদান্দে। ৭৩ রানে ছয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
জোনাথান ক্যাম্পবেল লড়াই করার চেষ্টা করেন শেষদিকে নেমে। ১৪তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে টানা দুই ছক্কা হাঁকান। তবে আরেকটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন ক্যাম্পবেল। ডিপ মিউইকেট বাউন্ডারিতে লিটনের হাতে ধরা পড়েন ১০ বলে ২১ করা বাঁহাতি এই ব্যাটার।
৯১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে ছিল জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে ফারাজ আকরাম আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজার নবম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড জুটি। ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটিতে মূলত ফারাজ আকরামই ম্যাচটা জমিয়ে তুলেন। মাসাকাদজা ১৪ বলে ১৩ করে আউট হন।
কিন্তু শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেছেন আকরাম। ১৯ বলে দু’টি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে যান এই ব্যাটার।
তিনটি উইকেট পেলেও চার ওভারে ৪২ রান খরচ করেন সাইফউদ্দিন। রিশাদ হোসেন দু’টি উইকেট নিতে তিন ওভারে দেন ৩৮। তানভীর ৪ ওভারে ২৬, তাসকিন ২১, তানজিম সাকিব ২৬ রানে নেন একটি করে উইকেট। মাহমুদউল্লাহ এক রানে নেন একটি উইকেট।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে তানজিদ তামিম-তাওহিদ হৃদয় জুটি, এরপর তাওহিদ হৃদয় এবং জাকের আলি অনিক জুটিতে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ গড়ে টাইগাররা।
তাওহিদ হৃদয় ৩৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন জাকের আলি অনিক।