gramerkagoj
সোমবার ● ২০ মে ২০২৪ ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
টানা ৩৭ দিন পর বিদায় নিলো তাপপ্রবাহ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪, ১০:০৪:০০ পিএম , আপডেট : রবিবার, ১৯ মে , ২০২৪, ০৪:৩৩:৩৮ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2024-05-07_663a51632a24c.jpg

একটানা ৩৭ দিন পর দেশ থেকে বিদায় নিলো তাপপ্রবাহ। এ কারণে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গত ৩১ মার্চ তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছিল। যার প্রভাব ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর। যা মঙ্গলবার (৭ মে) দূর হলো বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সর্বশেষ সোমবার গোপালগঞ্জ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ৩১ মার্চ রাজশাহী ও পাবনায় মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ১৩ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় রাঙ্গামাটিতে। ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। ওইদিন চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। এরপর সারাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল বৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে। কালবৈশাখীরও দেখা মেলে না। সর্বশেষ ঢাকায় বৃষ্টি হয় ১৭ এপ্রিল। সারাদেশের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
২০ এপ্রিল দেশর বিভিন্ন জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে অর্থাৎ তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করে। ওইদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ প্রায় সারাদেশে বিস্তৃত হয়। এ সময়ে জনজীবনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
২৯ এপ্রিল ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যেটি ছিল চলতি মৌসুমে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া ৩০ এপ্রিল যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠে, যা ছিল ১৯৮৯ সালের পর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
মে মাস শুরু হওয়ার পর ঝড়-বৃষ্টি বেড়ে কমতে থাকে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা। ঢাকায় বৃষ্টি হয় ২ মে রাতে। বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখি ঝড় হতে থাকে অন্যান্য অঞ্চলেও। সোমবার থেকে যশোরাঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ কারণে তাপমাত্রা কমে মঙ্গলবার সারাদেশ থেকেই দূর হলো তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, গত ৩১ মার্চ দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। আজকে আর দেশের কোথাও তাপপ্রবাহ বইছে না। তিনি বলেন, বর্তমানে যে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা, সেটি আগামী ১৩/১৪ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তখন হয়তো কোথাও কোথাও কিছুটা গ্যাপ হতে পারে। তবে একেবারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল বৃষ্টিহীন থাকবে এমন নয়। আগামী ২০ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা তেমন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে চলতি মাসের শেষ দশকে কি হবে সেটি আরও পরে বলা যাবে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরও খবর

🔝