gramerkagoj
সোমবার ● ২০ মে ২০২৪ ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি কেশবপুরের ভোটাররা
প্রকাশ : বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ১০:২৩:০০ এ এম , আপডেট : শুক্রবার, ১৭ মে , ২০২৪, ১১:৫৬:৩৩ এ এম
কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর):
GK_2024-05-08_663aff2dd98da.png

প্রথম ধাপে যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে চলবে ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন দুইজন।

নির্বাচনে ইভিএমে অনেক ভোটার জীবনে প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুব খুশি। কিছু কিছু ভোটারের বিষয়টি বুঝতে অসুবিধা হলেও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তা ঠিক হয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মাঠে রয়েছেন ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবার ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে পৌরসভার বাইরে ১১টি ইউনিয়নের ভোটাররা এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন।

সরেজমিন সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি ছিল খুব কম। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় ৭১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৪৯৪ জন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এ কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব।

এ কেন্দ্রে সকালে ভোট দেন কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা সাদেক (শালিক)।

ভোট দিতে আসা উপজেলার ভোগতী এলাকার শফিউদ্দিন মোড়ল (৭০) বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার সময় বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় ওখানকার স্যাররা (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বুঝিয়ে দেন। পরে কোন অসুবিধা হয়নি।

কেশবপুর সাহাপাড়ার অলোক সাহা (৫৮) বলেন, ভোট দিতে কোন অসুবিধা হয়নি। ভালোভাবেই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি।

ভোট দিতে আসা কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইভিএম হলো সময় উপযোগী পদ্ধতি। খুবই অল্প সময়ের ভেতর ভোট দেওয়া যায়। এই ভোটে কোন এদিক-ওদিক করার সুযোগ নেই।

এর আগে উপজেলার মধ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম লক্ষ্য করা গেছে।

ভোটাররা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সাতজনের ভেতর যে চারজনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হালিমের ছেলে মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু (দোয়াত-কলম), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ককাজী মুজাহীদুল ইসলাম পান্না (হেলিকপ্টার), বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আকতার সাদেক (শালিক) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান (ঘোড়া)। এদের বাইরে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান (মোটর সাইকেল), ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুর রহমান (জোড়া ফুল) ও ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক (আনারস)। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পলাশ কুমার মল্লিক (উড়োজাহাজ), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ রানা (মাইক), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুমন সাহা (চশমা), আব্দুল্লাহ আল মামুন (তালা) ও মনিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী রাবেয়া খাতুন (ফুটবল) ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মনিরা খানম (কলস)।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কেশবপুর উপজেলা পরিষদ ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। এর ভেতর পুরুষ ভোটার এক লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ জন, নারী ভোটার এক লাখ নয় হাজার ১৭৭ জন ও হিজড়া দুই জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ৯৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৭০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও এক হাজার ৩৪০ জন পোলিং অফিসার’।

আরও খবর

🔝