gramerkagoj
সোমবার ● ২০ মে ২০২৪ ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়িসহ গাছপালা বিধ্বস্ত
প্রকাশ : শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪, ১০:৪৭:০০ এ এম , আপডেট : সোমবার, ২০ মে , ২০২৪, ০১:২৪:১৮ পিএম
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
GK_2024-05-10_663da6cd88429.jpg

কালবৈশাখী ঝড়ে ফরিদপুরের দুই উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও কয়েক'শ গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কয়েকটি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। অনেক জায়গায় বাড়ির বিদ্যুতের মিটার ও চালের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঝড়ে। ঝড়ের পর থেকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলাসহ অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, মাইটকুমরা, শেখপুর, ছত্তরকান্দা, রূপাপাত ইউনিয়নের কুমরাইল, কাটাগড়, কলিমাঝি, পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া, জয়পাশা, তামারহাজি। অন্যদিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার টাবনি, হেলেঞ্চা, পাড়াগ্রাম, বানা, বারাংকুলা, চরডাঙ্গা এলাকায় ঘরবাড়িসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সহস্রাইল গ্রামের তারেক আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যাক্তি জানান, বাড়ি থেকে বাজারের দিকে জরুরি ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে বাতাস শুরু হলে মেঘের গর্জন হয়। মুহূর্তের মধ্যেই বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ৫ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। ভেঙে গেছে ঝড়ে অনেক ঘরবাড়িও।
আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার ওবায়দুর রহমান জানান, সন্ধ্যার কালবৈশাখীর ঝড়ে বোয়ালমারীর সহস্রাইল বাজার হতে আলফাডাঙ্গা সড়কে বড় কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে ছোটবড় যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে আমরা গাছপালা অপসরণ করেছি। এখনো কাজ চলমান রয়েছে। ওই এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জানতে পেরেছি অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারবো।
বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইস্রাফিল মোল্যা জানান, সহস্রাইল বাজারের প্রায় ১০টি ঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বাজারের অনেক ঘরে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজসহ অন্যান্য মালামাল ছিল। শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
একই উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, রুপাপাত ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে কালবৈশাখীর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোর্শেদুর রহিম জানান, ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মেইন লাইন কানাইপুরে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ অনেক জায়গায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া বোয়ালমারীর জয়পাশা, ময়েনদিয়া এলাকায় বিদ্যুতের পিলারও পড়ে গেছে। আলফাডাঙ্গারও কয়েকটি জায়গায় বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের কর্মীরা মাঠে কাজ করছে। গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের লাইনের ক্ষতি হওয়ায় অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে বিলম্ব হতে পারে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, আমরা এখনো ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য পাইনি। আমরা প্রকৃত তথ্য সংগ্রহে কাজ করছি।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন ও আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

আরও খবর

🔝