gramerkagoj
সোমবার ● ২০ মে ২০২৪ ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
সার্জেন্ট বাবু আটকের পর গা ঢাকা দিয়েছে সহযোগীরা

❒ বন্ধ কথিত মানবাধিকার সংগঠন

প্রকাশ : শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪, ০৯:২৮:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-05-10_663e3db1888dd.jpg

ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি ও টাকা না পেয়ে জখমের ঘটনায় রায়পাড়ার বিতর্কিত নুর ইসলাম বাবু ওরফে সার্জেন্ট বাবুকে আটকের পর গা ঢাকা দিয়েছে তার ঘনিষ্ট সহযোগীরা। বন্ধ রাখা হয়েছে ভুঁইফোঁড় সেই মানবাধিকার সংগঠনের কার্যালয়ও।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশের হাতে আটক এড়াতে সার্জেন্ট বাবুর ঘনিষ্ট সহযোগী কথিত মানবাধিকার সংগঠনের নেতা পরিচয়দানকারী মনোয়ার হোসেন জনি তার গ্রামের বাড়ি বিক্রমপুর পালিয়েছে। এই চক্রের অন্য সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
স্থানীয়রা জানান, সার্জেন্ট বাবু আর মনোয়ার হোসেন জনি একই সুঁতায় বাধা। রেলগেট বারেকের দোকানের সামনের কথিত সেই মানবাধিকার সংগঠনের অফিসকে কেন্দ্র করেই তারা অপকর্ম করে বেড়ান। তাদের সাথে রয়েছেন কয়েকজন বোরকা পরিহিত নারী ও ১০-১৫জন যুবক। যারা সারাদিন ওই এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে ঘুরে বেড়ান। বিশেষ করে বোরকা পরিহিতরা বিভিন্ন পরিবারের সাথে মিশে যান। এরপর তারা গোপনে তথ্য সংগ্রহ করেন। এভাবে মানুষের মধ্যকার বিরোধকে পূঁজি করে কথিত সালিশের ব্যবস্থা করে। এর নামে হাতিয়ে নেয় অর্থ।
এ চক্রের শিকার হন নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সবাই। এসব ক্ষেত্রে তারা একেক সময় একেক নেতার নাম ভাঙায়। এর বাইরেও চক্রটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মনগড়া চাঁদা আদায় করে। তাদেরকে চাঁদা না দিলে শুরু হয়ে হয়রানি, মারপিট ও হুমকি ধামকি। একইভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হয় রায়পাড়ার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন সাগরকে। তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চক্রটি। টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ৩ এপ্রিল ধারাল অস্ত্র নিয়ে সাগরকে কুপিয়ে জখম করে। তাকে ঠেকাতে গেলে জুয়েল নামে আরও একজন আহত হন।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলার পর আটক করা হয় বিতর্কিত সার্জেন্ট বাবুকে। তবে, এ মামলার অপর চার আসামি একই এলাকার মিন্টু হোসেন, জেংকি, মেজবা উদ্দিন ও ফাহিমকে আটকের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। একইসাথে কথিত সেই মানবাধিকার সংগঠন সম্পর্কে তদন্ত ও নেতা মনোয়ার হোসেন জনির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।

 

 

আরও খবর

🔝