প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩, ১২:০২ পিএম |

আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনই হলেন গাজীপুরের নগরমাতা। ভোটের লড়াইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটি করপোরেশনেরই সাবেক মেয়র। সাধারণ গৃহিণী থেকে বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই আলোচনায় আসেন ৬১ বছর বয়সী জায়েদা খাতুন। ভোটের প্রচারে নিজেকে জাহাঙ্গীরের মা হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
২৫ মে দিনগত রাতে ৪৮০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণার শেষে তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন। নির্বাচিত হওয়ার দৌঁড়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লাহ (নৌকা) পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

নির্বাচনে জয়ী হওয়া জায়েদা আগামী পাঁচ বছরের জন্য মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। তার জয়ের খবরে গাজীপুরের লোকজন উল্লাসে ফেটে পড়েন। কেউ কেউ বিজয় মিছিল করেন।
অন্যান্য প্রার্থীদের ফলাফল হিসেবে জানা গেছে, আতিকুল ইসলাম (মাছ মার্কা) পেয়েছেন ১৬৯৭৪ ভোট; এম এম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল) ১৬৩৬২; গাজী আতাউর রহমান (হাতপাখা) ৪৫৩৫২; রাজু আহমেদ (গোলাপ ফুল) ৭২০৬; হারুন-অর-রশিদ (ঘোড়া) ২৪২৬ এবং সরকার শাহনূর ইসলাম (হাতি) পেয়েছেন ২৩২৬৫ ভোট।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েই মূলত জাহাঙ্গীর তাঁর মা জায়েদা খাতুনকে প্রার্থী করেন। অবশ্য তিনি নিজেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কৃত হন তিনি। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে কার্যত আজমত উল্লার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাহাঙ্গীর। মায়ের পক্ষে দিনরাত প্রচার চালিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আজমত উল্লাও নির্বাচনী প্রচারে যা বলেছেন, এর প্রায় সবই ছিল জাহাঙ্গীরকেন্দ্রিক। ভোটে আজমত উল্লার হেরে যাওয়াকে জাহাঙ্গীরের জয় বলেই উল্লেখ করছেন তাঁর অনুসারীরা।