শিরোনাম |
চৈত্রের কাঠফাটা গরমে শুরু হয়েছে রমজান মাস। আর এই রমজান মাসের তীব্র গরমে পানি ও পানিজাতীয় ফলের প্রতি মানুষের আগ্রহ একটু বেশিই থাকে। কেননা, এ সময় তরমুজ যেমন শরীর ঠান্ডা করে আবার গলা ভেজাতেও সাহায্য করে।
পাঁচ হাজার বছর আগে মিসরে প্রথম এ ফলের দেখা পাওয়া। তারপর স্বাদের গুণে এই ফল ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
তরমুজ হলো এমন একটি ফল, যাতে নানা প্রকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। আছে লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও পানি। এসব উপাদান হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ করে। লাইকোপেন মানবদেহের কয়েক ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করে। খাওয়া ছাড়াও রূপচর্চায় তরমুজ ব্যবহার করা হয়।
তরমুজে আছে ৯২ ভাগ পানি। তাই শরীরকে ঠান্ডা করতে ও পানিশূন্যতা কমাতে তরমুজ অতুলনীয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্যাফেইনের তুলনায় তরমুজ অনেক গুণ বেশি উপকারী। তাই ক্যাফেইন কমিয়ে বেশি বেশি তরমুজ খাওয়া উচিত।
গরমের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। তাই গরমে হঠাৎ করেই হতে পারে হিটস্ট্রোক। তরমুজ মস্তিষ্ক ও শরীরকে ঠান্ডা রেখে শক্তি সঞ্চার করে; যা হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
চোখের সুস্থতার জন্য ভিটামিন এ-র বিকল্প নেই। আর তরমুজে আপনি প্রতিদিনের প্রয়োজনের ৯-১১ ভাগ ভিটামিন এ পেয়ে যাবেন, যা আপনার চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখবে, বাড়াবে দৃষ্টিশক্তি।
এক কাপ পরিমাণ তরমুজ খেলে প্রায় ৪৫ ক্যালরি শক্তি পাবেন। চিনি বা শর্করা, এক গ্রাম পরিমাণ আঁশ এবং শূন্য পরিমাণ চর্বি বা ফ্যাট পাবেন ১০ গ্রামের মতো। এই পরিমাণ তরমুজ খেয়ে আপনি প্রতিদিন ভিটামিন এ-র চাহিদার ৭ শতাংশ ও ভিটামিন সি-র ২১ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন।
তরমুজে ক্যালরির মাত্রা খুব কম। ফলে এই ফল সবার জন্যই স্বাস্থ্যকর। তরমুজে উপস্থিত সব অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের ক্ষয় আটকায়, ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তরমুজ ত্বক ও চোখের জন্য ভালো। তরমুজে উপস্থিত পটাশিয়াম পেশির শক্তি বাড়ায়। শরীরচর্চার পর এক বাটি তরমুজ খেলে বাড়ে পেশিশক্তিও।