gramerkagoj
রবিবার ● ২ নভেম্বর ২০২৫ ১৮ কার্তিক ১৪৩২
gramerkagoj

❒ ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব

জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে সুন্দরবন
প্রকাশ : রবিবার, ২৬ মে , ২০২৪, ০৭:৪৮:০০ পিএম , আপডেট : রবিবার, ২ নভেম্বর , ২০২৫, ১০:১২:০২ এএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-05-26_665343cfd1a09.JPG

ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে ডুবে গেছে সুন্দরবন। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে বনের কয়েকটি এলাকা।
ঝড়ের আগাম প্রভাব বেশ জোরালোভাবেই পড়েছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের তীব্রতা। একইসঙ্গে বাড়ছে জেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের আতঙ্কও। অনেকেই তাদের গবাদিপশু ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছে।
এদিকে, রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র তিন থেকে চার ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।
মোংলা বন্দরে পণ্য উঠানামাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। আজ রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে মোংলা আবহাওয়া অফিস।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক খালিদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় বাগেরহাটে ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি নদী তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
এছাড়া তিন হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৮৮টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১০টি কন্ট্রোল রুম। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬৪৩ টন চাল ও পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
জেলার নয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিলের পাশাপাশি উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকা বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

আরও খবর

🔝