gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম এমএলএসএস রেকসোনাকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান যশোরে প্রিন্স ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ‘দেড় হাজারে পাখির বাসাও হয় না, জাতি গড়ার কারিগরদের বাসা কী করে হবে?’ ২৪ দিন ওসি শূণ্য যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায়, তদন্ত ওসি নেই ৫ বছরের উপরে যশোরে ফাঁকা বাড়ি পেয়ে গৃহকর্মীর পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট, আদালতে মামলা বেসরকারি শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে ঝিকরগাছা শিক্ষক সংগঠনের একাত্মতা ঘোষণা, কর্মবিরতি পালন চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদ পানে ছয়জনের মৃত্যু পিআর পদ্ধতি নিয়ে জল ঘোলা করছে জামায়াত : রিপন মণিরামপুরে দূর্যোগ প্রশমন দিবসের র‍্যালি ও আলোচনা সভা যশোরে আরএন রোডের খালেদা হত্যা মামলায় পালিত ছেলে শামস বিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
সব জাগায় ফাকি!
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৮ মে , ২০২৪, ১০:১৫:০০ পিএম
আক্কেল চাচা:
GK_2024-05-28_6656031fd4ac9.jpg

আমাগের এলেকার এক রিটায়ার মাইস্টের ছিল। পেত্তেক দিন ব্যানবেলায় দেকতাম তিনি ঘন পায় হাইটে যাচ্চেন, পরে গা ঘামায় বাড়ি ফেত্তেন। পরে জানতি পারিলাম উনার ডায়াবেটিস। তাই শরীল সুস্ত রাখার জন্যি তিনি নিয়ম কইরে পেত্তেক দিন তিন চার মাইল কইরে হাটেন।
একদিন কি এট্টা কাজে আমাগের বাড়িত্তে তিন চার মাইল দূরির এক বাজারে গিচি। বেলা ব্যানবেলাত্তে এট্টু চইড়েচে। সেই বাজারের এক হোটেলে ঢুইকে দেকি আমাগের সেই স্যার গরম পরোটার সাতে নুড়া সাইজির মিস্টি দিয়ে বসান দেচ্চে। আমারে দেইকে তিনিও থতোমতো খাইয়ে গেলেন। তবু লিকাপড়া জানা মানুস সাতে সাতে বিষয়ডা কন্টোলে নিয়ে আমারে ডাইকে তার পাশে বসায়ে মেচিয়াররে হাকার দিয়ে কলেন, আরাক জাগায় মিস্টি আর পরাটা দিতি। আমি খাবো না কলিও হাত ধইরে বসায়ে কলেন, খাতি কচ্চি খাও। আমি ডায়াবেটিস রুগি তাই ঝাইড়ে দিচ্চি, তুমার তো আর তা না। তালি সমিস্যা কি! আমি লজ্জার খাতিরি বসলাম। পরাটা আসার আগেই তিনি আমারে কলেন, এই মিস্টি খাওয়ার কতা যেন আর কেউ না জানে। খাওয়ার আগে মনে হইলো ইডা আবার মুক বন্দ করার বুজবুজ নাতো!
সেই মাইস্টের সাহেব গত হইয়েচে বেশ ক’ বচর আগে। বিষয়ডা মনে পইড়ে গেলো আমার আরাক ভাইপোর কান্ড কারখানায়। ঢ্যাবা হইয়ে যাচ্চে বিলে বৌমা তারে হররোজ ব্যানবেলা ডাইকে দেয় দৌড়োনোর জন্যি। বৌমাও মাস্টারি করে। ইশকুলি যাওয়ার আগে দেকেন ভাইপো ঘাইমে সুতায় বাড়ি ফেরে। বৌমা খুব খুশি। সেদিন গরমে কারনে ব্যানবেলা ইশকুল ভাইপোর তা মনে নেই। বৌমা ব্যানবেলা ইশকুলি যাওয়ার পতে দেকে সেই ঢ্যাবা ভাইপো দৌড়োনো তো দূরি থাক, মোড়ের হোটেলের চরাটে বইসে সুমানে কালো ভুনা দিয়ে গরম রুটি কইষতেচে। পরে বৌমা সিআইডির মতো তার পাছ লাইগে দেকে, খাইয়ে দাইয়ে হোটেলের পাশের টিউকলতে পানি গা মাতায় ছিটোয়ে গুঞ্জি ভিজোচ্চে। এই রহস্য জানার পর ভাইপোর পাতে স্যাংশন পড়িলো!
একন সব জাগায় ফাকি, কনে যাব কওদিনি বাপু! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা

আরও খবর

🔝