শিরোনাম |
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী যে কোনো মৌসুমী ফল বা সবজি। সারাবছর বিভিন্ন ঋতুতে মৌসুমী ফল এবং সবজি খেলে দেহের নানা ধরণের পুষ্টি চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে। আর আমরা সবাই জানি এই মৌসুমী সবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে অন্যতম কাঁকরোলে।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিজেন এবং ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’। এছাড়া আছে দেহের জন্য উপকারী বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। এটি বেশ পরিচিত সবজির মধ্যে অন্যতম। এর গায় ছোট ছোট কাঁটা যুক্ত। কাঁকরোলের আদি উৎস হিসেবে ধরা হয় ভিয়েতনামকে। এছাড়াও আছে মিনারেল এবং লুটেইন ও জেনাস্থিন যা চোখের স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারি।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় কাঁকরোলে চোখের জন্য খুবই উপকারী কারণ এতে আছে ভিটামিন, বিটাক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করার পাশাপাশি চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
হাইপোগ্লাইসেমিক গুণাগুণ রয়েছে কাঁকরোলে। এটি অগ্নাশয়ের বিটাসেলকে সুরক্ষিত রাখে ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ইন্সুলিন নিঃসরণ ও সংবেদনশীলতা বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তারুণ্য ধরে রাখে
কাঁকরোলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘এ’এবং ‘সি’ থাকায় ত্বকের যেকোনো রোগ নিরাময় করতে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কাঁকরোলে রয়েছে প্রচুর হাইপোগ্লাইসেমিকের গুণাগুণ। যা কোলাজেনের গঠনকে পুনর্র্নিমাণের মাধ্যমে বয়সের ছাপ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি অক্সাইড যা বাইরের রোদ ধোঁয়া, ধুলো এবং দূষণের হাত থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
কাঁকরোলের পুষ্টি উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার কোষের সংখ্যা বৃদ্ধিকে ধীর গতির করতে পারে। এবং এতে নির্দিষ্ট একটি প্রোটিন থাকে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে সাহায্য করে। দেহের ফ্রি র্যা ডিকেলের সংখ্যা কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
হজমের সমস্যা দূর করে
কাঁকরোলে হাইফাইবার এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হজমের গোলমাল এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো করতে সাহায্য করে।
বিষন্নতা প্রতিহত করে
কাঁকরোলে সেলেনিয়াম, মিনারেল এবং ভিটামিন থাকে, যা নার্ভাস সিস্টেমের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। তাই বিষন্নতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে কাঁকরোল।
অ্যানিমিয়া প্রতিহত করে
কাঁকরোলে প্রচুর আয়রন থাকার পাশাপাশি ভিটামিন-সি ও ফলিক এসিড থাকে ফলে অ্যানেমিয়ার প্রতিহত করতে সাহায্য করে।
খুশখুশে কাশি কমায়
আমাদের ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ছোট-বড় সবারই কাশির সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাচ্চাদের অ্যালার্জি এবং অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে কাঁকরোল খাওয়ালে অনেক রোগের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় খুব সহজেই।