শিরোনাম |
আগে ইউটুব দেইকে রান্দা বান্দা শিকার কতা খুব শুনতাম। কাল শুনলাম এক ভাইপো ইউটুব দেইকে জাল টাকা ছাপানো শিকে ফ্যালায়েচে। তার বাড়ি ঢাকায়। ধুলাইপাড়ে এক সুমায় কম্পুটারের দুকানে লিকলিকির কাজ কইত্তো। তাতে কোন রকম কামোয় হইতো। দুর্মূল্যের বাজারে সেই টাকায় সুংসার না চলায় বেশি টাকা কামোয় করার ফন্দি আটিল। গুগলে সাচ দিয়ে বেশি টাকা কামোয় করার উপায় খুজদি যাইয়ে পাইলো জাল টাকা ছাপানোর বুদ্দি। আগেত্তে কম্পুটারে হাত পাকায় ফেলানো ভাইপোডা লাইগে গিলো সেই জালটাকা ছাপানোর কাজে।
কতায় কয় চোরের দশদিন, গেরোস্তোর একদিন। মচ্চিমুলামে কাজ চালায় যাওয়ার মদ্দি ঠিকই পুলিশির জালে ঘের খাইয়েচে ভাইপোডা। পুলিশির হাতে ডলা খাইয়ে সব স্বীকার গেচে। লাখ টাকার জাল নোট বিক্কির কইত্তো দশ হাজার টাকায়। এই নোট বিক্কির জন্যি তাইগের চুরায় নেটওয়ার গইড়ে ওটে। সুমকি কুরবানীর হাট। নোটের ছড়াছড়ি, স্যানে যদি ঝোপ বুইজে কোপ মাইরে দিয়া যায় তো লালে লাল। চাহিদা বাইরে যাওয়ায় ভাইপোও রেট বাড়ায় দিলো। লাখ টাকার জাল নোট দশেত্তে বাড়ায়ে পনের হাজার কইরে ঘা দিচ্চিল। ব্যবসার পোসার বাইড়ে যাওয়ায় জানাজানিও বাইড়ে গিল। সেই খবর কানাকানিত্তি মুকি মুকি চাউর হওয়ায় ফান পাতে পুলিশ। ব্যস মুটা দান মাত্তি যাইয়ে কট।
এর আগে করোনার মদ্দি শুনিলাম ক্লাস বন্দ থাকায় অনলাইনি কিলাস চইলতো। স্যানে ডাক্তারী পড়া এক ভাইপো ইউটুব দেইকে অপারেশন করা শিকিল। পরে বাস্তবে এক রুগিরে অপারেশন করার ফুলির মালা নিয়ে আইলো। জ্যান্ত ফুলির মালা দেইকেতো রুগি আল্লাদে আটখান। ইরাম সিবা কেউ আগে পাইয়েচে কিনা তা ভাইবে কাইন্দে বুড়োনোর জুগাড়। পরে রুগির লোকজন জানতি চালে মালা আনার ফ্যারাডা কি। তকন নাস রুগির লোকজনরে যা কলেন তার সারমম্ম হচ্চে ডাক্তার সাহেব ইউটুব দেইকে সিজার শিকেচেন। আইজ পেত্তেম আইয়েচেন অপারেশন কত্তি। অপরাশেন সাকসোফুল হলি মালা ডাক্তারের গলায় আর ব্যত্ত হলি মালা রুগির গলায়।
কি সব্বোরাশে কতা কওদিনি বাপু! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা