gramerkagoj
শনিবার ● ১০ মে ২০২৫ ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
gramerkagoj
মণিরামপুরে ভ্যান চালকের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : বুধবার, ১০ জুলাই , ২০২৪, ০৭:৩৮:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ৯ মে , ২০২৫, ০৫:১৫:৩৯ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-07-10_668e8f2fcd228.jpg

যশোরের মণিরামপুরে আম গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুল গফ্ফার নামে এক ভ্যান চালকের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) উপজেলার কুয়াদা বাজার সংলগ্ন একটি পুকুর পাড়ের আম গাছের সাথে গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। আব্দুল গফ্ফার যশোর সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে।

তার ছেলে রিপন হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন মায়ের সাথে বাবার সম্পর্ক নেই। বাবা বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভ্যান চালিয়ে দিন চলতো তার। আমি ডহরসিংহা গ্রামে বাড়ি করে মাকে নিয়ে সেখানে থাকি। তারা পৃথক থাকলেও বাবার সাথে আমার যোগাযোগ ছিলো। তিনি আমার সাথে কুয়াদা বাজারে এসে দেখা করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় বাবা আমার সাথে দেখা করেন। তখন তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। তাতে মনে হয়েছে বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
রিপন হোসেন আরো বলেন, আমি বাবাকে ডাক্তার দেখানোর উদ্যোগ নিচ্ছিলাম। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে আর তার দেখা পাইনি। ভেবেছি হয়তো কোথাও গেছেন, চলে আসবেন। এজন্য বিষয়টি আত্মীয় স্বজন বা পুলিশকে জানাইনি। বুধবার দুপুরে শুনি আম গাছের মাথায় বাবার মৃতদেহ ঝুলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার কুয়াদা বাজারের পাশে আব্দুল মান্নানের পুকুর পাড়ে আম গাছের সাথে ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে বাক প্রতিবন্ধী এক নারী চিৎকার করছিলেন। তখন আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি মাটি থেকে ১৫-২০ ফুট উপরে আম গাছে গলায় গামছা পেঁচানো এক ব্যক্তির মৃতদেহ পচে গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরে মণিরামপুর থানায় খবর দিলে ওসি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, গত ৭ জুলাই থেকে ভ্যান চালককে এলাকায় দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে আরো তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও খবর

🔝