শিরোনাম |
দাবি না মানা পর্যন্ত শিক্ষকরা ঘরে ফিরবে না জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক সরকার বলেছেন, আমাদের এই আন্দোলনের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হবে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডের পাশে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে রাবি অধ্যাপক এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণফোনের সিনিয়র কর্মকর্তারা মাসে ৪-৫ লাখ টাকা বেতন পান। তাছাড়া বেসরকারি কর্মকর্তারাও একেকজন ভালো মানের বেতন পায়। আমরা রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বেতন পাব কিন্তু আমাদের কোনো মর্যাদা থাকবে না তা তো কোনোভাবেই হতে পারে না। আমরা উন্নত বেতন কাঠামোর সঙ্গে মর্যাদা চাই। আমাদের সেই মর্যাদা লড়াইয়ের দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেনে নিয়ে শিক্ষকদের আস্থার জায়গায় পরিণত হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক সরকার বলেন, আমলাদের মধ্যে অনেক দক্ষ লোক যেমন রয়েছে তেমনি কিছু অদক্ষ লোকও রয়েছে সেটি ইতোমধ্যে প্রমাণিত। যারা বিসিএস প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে আমলা হচ্ছে তারা তো প্রত্যয় স্কিমের মতো এমন সিদ্ধান্ত নেবেই। পিএসসি যদি দক্ষতার সহিত নিয়োগ প্রদান করতো তাহলে সেখানে মেধাবীরা প্রবেশ করতেন তাহলে আজ এমন সিদ্ধান্ত কখনোই আসতো না এবং আমাদেরও আজ রাস্তায় নামতে হতো না। তাই আমরা বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলবেন না। অতিদ্রুত শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষকদের দাবি মেনে নিন।
এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষকদের নিয়ে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছি। আগামী দিনেও কঠিন পথগুলো আপনাদের নিয়েই পাড়ি দেব। আমরা প্রত্যয় স্কিম থেকে বের হওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করলেও আমাদের আন্দোলন দিন দিন স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনই আমাদের মূল আন্দোলন। প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা শিক্ষকদের সঙ্গে অন্যায়, অপমান ও বঞ্চনা করার সমান। এর মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে চলে আসা আমাদের পেনশন পদ্ধতি বাতিল করতে চাচ্ছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এ আন্দোলন থেকে সরে আসব না। এ আন্দোলনের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হবে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
এদিকে, টানা ১১ দিনের মতো চলছে পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি। এ সময় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।