শিরোনাম |
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্তরা হাসপাতালে কিংবদন্তি ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ গত ২৫ জুলাই সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। কনসার্টে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসছে শিল্পী শাফিন আহমেদের মরদেহ। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শাফিন আহমেদের বড় ভাই হামিন আহমেদ।
তিনি জানান, শাফিনের লাশ বহনকারী উড়োজাহাজ আজ বিকাল সাড়ে ৫টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে সমাহিত করা হবে এই শিল্পীকে।
বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের দুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন নিজে ছিলেন বেইজ গিটারিস্ট, সুরকার এবং গায়ক। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। বড় ভাই হামিন আহমেদসহ ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে পশ্চিমের সংগীতের সঙ্গে সখ্য হয় শাফিনের। শুরু হয় তার ব্যান্ড সংগীতের যাত্রা।
ফরিদ রশিদের হাত ধরে ১৯৭৯ সালে তারা গড়ে তোলেন ব্যান্ডদল ‘মাইলস’। প্রথম কয়েক বছর তারা বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে ইংরেজি গান গাইতেন। এরমধ্যেই প্রকাশিত হয় দু’টি ইংরেজি গানের অ্যালবাম ‘মাইলস’ ও ‘এ স্টেপ ফারদার’। পরে মাইলসের বাংলা গানের প্রথম অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’ বের হয় ১৯৯১ সালে।
মাইলসের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন’ ও ‘প্রিয়তমা মেঘ’।