শিরোনাম |
কোটা আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার জেরে দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। শুরুতে কেবল কারফিউ শিথিলের সময় স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলবে। বুধবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেকার আলম রাজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপাতত স্বল্প দূরত্বে কিছু ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এসব ট্রেন চলাচল করবে। দিনের বেলা যখন কারফিউ শিথিল থাকবে, তখন চলবে ট্রেন।’ আন্তঃনগর ট্রেন চালুর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরের দিন ট্রেন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন ঢাকার মহাখালীতে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করা হয়। রেলপথের টঙ্গী-ভৈরব অংশের নরসিংদীতে রেললাইন তুলে ফেলা হয়। ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ওই দিন দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের সব যাত্রা বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ২৫ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালুর ঘোষণা দিলেও শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে রেলওয়ে। আবার স্বল্প পরিসরে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে, এটি ভালো কথা। কারণ ট্রেন এদেশে অন্যতম গণপরিবহণ। ট্রেন চলা আনন্দের সংবাদ। তবে সেই আনন্দ যেনো বিষাদে পরিণত না হয়। ট্রেনে নাশকতার উদাহরণ অজস্র রয়েছে। কাজেই ট্রেনে সকল নিরাপত্তা বিধান সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।