শিরোনাম |
আমাগের এলেকায় কিচু মানুস গাঙে খ্যাপলা জাল ফেলায়ে মাছ মারে। তার মদ্দি একজন নাম করা। জাল মারুক বা যুতি মারুক তার নিশানা ফেল করার নজির খুব কম। যারা গাঙের মাছ একবার খাইয়েচে তারা যত টাকাই দাম চাক সেই মাছ তারা কেনবেই। পাল্লাপাল্লি কইরে কিনতি হলিও কেউ পিছপা হয় না। যারা মাছুড়ে তাইগের পুয়া বারো। সুযোগ পালিই চড়া দাম হাকায় বসে।
একবার তার জালে স্যায়না গোছের এক রুই মাছ পইড়েচে। জালের মদ্দি সে কি ঝটাপটা। রাস্তায় চলন্ত লোক যাওয়া বাদ দিয়ে তাগায় রইয়েচে জালে কি পইড়লো তা টাইনে তুল্লি দেকার জন্যি। সেও মাছের চাইতে স্যায়না বেশি। তাই খেলায়ে খেলায়ে আস্তের আস্তের কইরে ঝিম মাইরে জাল তুল্লি দেকা গেল আড়াত্তে সুয়া তিন কেজি সাইজির এক রুই মাছ। পানিত্তে ড্যাঙায় আনার সাতে সাতে সেই মাছ নিয়ে কাড়াকাড়ি। গোন বুইজে সেও ছয়শ’ টাকা কেজি দর ধইরে বইসে আছে। এর কম হলি সে বেচপে না। খদ্দেররা নিজিগের মদ্দি কামড়া কামড়ি বাদ দিয়ে কলে যে নিবি নে। হত দাম দিয়ে রুই মাছ নেব না। যে বেশি গাহক দেখাইলো সেও দাম শুইনে নিমরাজি ভাব। তবু যেহেতু দামাদামি করিলো তাই কচ্চে রুই মাছের কেজি কোন জাগায় ছয়শ’ কইরে ক’দিনি। উত্তরে মাছয়ালা কলে, নিলি নেন না নিলি থাক। কমে দিলি আমার পড়তা হবে না। এই কতা শুইনে সেই লোক কচ্চে গাঙের মাছ মাত্তিচিস। শুদু জালডায় তোর, আর তো সব ফাও। এর মদ্দি আবার পড়তা আইসলো কনতে!
ম্যালা আগের গিরামের এই ঘটনাডা মনে পইড়ে যাচ্চে বাজারে ইলিশ মাছের দামের জন্যি। ইলিশ মাছ সাগরে আল্লার দান। কেউ কিনে মাছের ডিম ফুটোয় না, মাছের পুনাও ছাড়েনা, টাকা খচ্চা কইরে ফিড কিনে খাওয়াতি হয়না। শুদু ওপরয়ালার নাম নিয়ে জাল মাত্তি যাবে, ফিরে আসপে মাছ বুঝায় কইরে। তালি সেই মাছের দাম বাড়তি বাড়তি মানসির সহ্য সীমার বাইরি চইলে গেলি জানের বুজ দিয়া যায়!
কয়দিন ধইরে ফেসবুক গাবায় গেল, আমাগের চাহিদা না মিটা পন্তিক ইলিশ মাছ দেশের বাইরি কোনটোয় যাবে না। লোকের ফোস শুইনে বাজারে যাইয়ে হ্যারেজ খাওয়ার জুগাড়। ইলিশ মাছ সব মানসির পাতে যাওয়ার উপায়ডা কি কও দিনি বাপু। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা