শিরোনাম |
রিমান্ড অসুস্থ হয়ে পড়ায় সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের ১০৭ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয় তাকে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে। বাকশক্তি না থাকায় রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবির বিশেষ অফিসারদের ডাকা হয়, যারা ইশারা ভাষা বুঝতে পারদর্শী। হাজী সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এই বিশেষ অফিসাররা।
১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বংশাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হাজি সেলিমকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগের ঢাকা বধির হাইস্কুলের জমি দখলসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় ২০০৮ সালে হাজী সেলিমকে দুদক আইনের দুটি ধারায় মোট ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় ওই মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রেখে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু আত্মসমর্পণ না করে চিকিৎসার কথা বলে সেসময় বিদেশ চলে যান তিনি। পরে সমালোচনার মুখে দেশে ফিরে ওই বছরের ২২ মে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ৬ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
গত ৭ জানুয়ারির কথিত ডামি নির্বাচনে হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিমকে দলীয় মনোনয়নন দেয় আওয়ামী লীগ। বাবার পর ছেলের আওয়ামী লীগের টিকিট নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে সেলিম পরিবারের দুর্নীতি ও ত্রাসের রাজত্ব টিকে যায়, যা গত ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে ভেঙে পড়ে।