শিরোনাম |
যশোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকে হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শ্যামলগাছি গ্রামের মোস্তফা কামাল মিন্টু।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলার শ্যামলগাছী গ্রামের কবীর উদ্দীন তোতা, একই গ্রামের চারভাই রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মন্টু, তরিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের শান্টু ওরফে কালু, ছাত্তার, শার্শা টিএন্ডটি অফিস এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ, শার্শা গ্রামের আদিল এবং উত্তর বুরুজবাগানের হাফিজুর রহমান মিন্টু।
অভিযোগ আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা সাত দিনের মধ্যে শার্শা থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আমিনুর রহমান।
মামলায় মিন্টু উল্লেখ করেছেন, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে তার ‘ল’ চেম্বার রয়েছে। এছাড়াও তার আরেকটি চেম্বার রয়েছে নিজবাড়িতে। সেখানে বসে তিনি এলাকার মানুষকে আইনি সেবা দেন। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর সেই চেম্বারে বসে থাকাকালে সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দীনের নির্দেশে অন্য আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে অফিসে হামলা চালায়। এসময় তার গলায় গাছি দা ধরে বলে ‘বড় নেতা হয়ে গিছিস? তোকে খুলনার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে কে জেতে বলেছিল’? এছাড়া, পিকনিকের কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা টাবি করে হামলাকারীরা। না দিলে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর প্রতিবাদ জানালে, আসামিরা তার অফিস ভাঙচুর করে। এসময় বিভিন্ন আসবাবপত্রও লুট করে তারা। মামলার নথি ছিড়ে ফেলে। হত্যার হুমকি দিয়ে চেম্বারের ড্রয়ারে থাকা বাদীর দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় তিনি শার্শা থানায় মামলার জন্য যান। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেয়নি। বর্তমানে দেশের স্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেন।