শিরোনাম |
❒ বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
যশোরে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগের ৬৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরাম নেতা শংকরপুর এলাকার অ্যাডভোকেট এমএ গফুর। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম।
উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহামুদ হাসান বিপু, মঈন উদ্দিন মিঠু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন, আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ, রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান লাইফ, যশোর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, ছয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, সাত নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়ন ওরফে হিটার নয়ন, শাহাজাহান কবির শিপুল, বিরামপুরের হাদিউজ্জামান চিমা, বারান্দিপাড়ার জাকির হোসেন রাজিব, সনি।
অন্য আসামিরা হলেন ঘোপের সুজন, রাসেল, রেজওয়ান, হাশেম কাজী, বারান্দিপাড়ার কসাই মনির, নান্টু, তৌসিফুর রহমান রাসেল, আনোয়ার হোসেন সবুজ, নুরপুরের সাগর খাঁ, ছাতিয়ানতলার আব্দুল মান্নান মুন্না, আলমনগরের টিপু সুলতান, বিরামপুরের শাহাজান আলী কসাই, ছোট হৈবতপুরের সিদ্দিকুর রহমান, তালবাড়িয়ার আসমত আলী চাকলাদার, শালিয়াটের ইমলাক, আরএনরোডের কালো ফারুক, পল্টু, এজাজ আহম্মেদ, তালবাড়িয়ার ফিরোজ, আরএন রোডের টিপু সুলতান, উপশহরের সাগর, সুলতানপুরের ডেঞ্জার দিপু, তালবাড়িয়ার টিপু সুলতান, বারান্দিপাড়ার কামাল হোসেন, পুরাতন কসবার মামুন করিম, রায়পাড়ার রিয়াজ, টেরা চঞ্চল, বালিয়াডাঙ্গার রবিউল ইসলাম, বাদশা মিয়া, চাঁচড়া ভাতুরিয়ার শফিয়ার রহমান, আজাদ, তফসিডাঙ্গার মামুন, সিরাজুল, চাঁচড়ার সোহান, বারান্দিপাড়ার গোলাম কিররিয়া সানি, হামিদপুরের টেরা সুজন, অম্বিকা বসু লেনের টেরা মোস্তফা, রায়পাড়ার সাইফুল ইসলাম, বাপ্পী, ষষ্টিতলার সিকদার, সিটি কলেজপাড়ার নাহিদ, সাদ্দাম, গোলপাতা মসজিদ এলাকার জুয়েল, বিপ্লব, শংকরপুরের মানিক, মুরগী ফার্ম গেটের রাজু, আনসার ক্যাম্পের রোহান, শংকরপুর মহিলা মাদ্রাসা এলাকার শয়ন ও পুরাতন কসবার মাসুম করীম। এছাড়া, এ মামলায় আরও ১শ’ থেকে দেড়শজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা সকলের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী। গত ৪ আগস্ট আসামিরা সকলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয়। এরপর তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লালদিঘীপাড়ের বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে যান। তারা পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। এসময় অফিসে থাকা দুটি ল্যাপটপ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এরপর তারা অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়। পরে আসামিরা বোমা হামলা চালায়। তারা ৪০ মিনিট তান্ডব চালায়। এসময় অফিস সহকারী মনিরুল অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা আওয়ামী লীগের শাসনামলে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।