বিশ্বজয়ী বীর আলেকজান্ডার মরার আগে তিনডে নসিহত কইরে গিলেন। পেত্তম নসিহত ছিলো তিনি মইরে যাওয়ার পর তার মরা খাটিয়াডা যেন ডাক্তাররা ঘাড়ে কইরে বইয়ে নিয়ে যান। দ্বিতীয় নসিহত ছিলো সারা জীবন ধইরে তিনি যে ধন সুম্পাদ কামোয় কইরেচেন তা যেন মরা খাটিয়া কবর পন্তিক নিয়ে যাওয়ার সুমায় ছিটোতি ছিটোতি যায় আর শেষ ওসিয়তটা হচ্চে খাটিয়ায় তুলার আগে কাফনের সুমায় যেন তার হাত দুডো বাইরি বের কইরে রাকা হয়।
তার এই আনকা ওসিয়ত শুইনে তার আশপাশের সগ্গলি থ’ মাইরে গ্যালো। বিনয় কইরে তার কাচে জানতি চাইলো ইরাম ওসিয়তের হেতু কি। তিনি কইলেন, মরার পর খাটিয়া ডাক্তার দিয়া বওয়াতি চাই এই কারণে সগল মানুস যাতে বুজদি পারে ডাক্তার শুদু চিকিসসে দিতি পারে কিন্তুক কাওরে বাচাতি পারেনা। বাচানোর ক্ষেমতা শুধু ওপরয়ালারই হাতে। দ্বিতীয় কতাডার মানে হচ্চে সারা জীবন বুকির রক্ত পানি পানি কইরে যে ধনসম্পত্তি কামোয় করলাম তার কেনিকুনাও সাতে নিয়ে যাতি পাল্লাম না। নাহাক কাজেই জীবনডা ব্যয় করা হইয়ে গ্যালো। আর কাপনের মদ্দিত্তে হাত বাইরো কইরে রাকতি চাই এই কারনে সবাই আমি আমি আলেকজান্ডার দা গেরেট। আমার মতো হ্যাতো বড় বীর কেউ আর নেই। অতচ আসার সুমায় যিরাম খালি হাতে আইলাম যাওয়ার সুমায়ও খালি হাতে চইলে যাচ্চি। তার এই তিন কতায় হেজেমানে শুইনে সগ্গলি চোকি পানি চইলে আসলো।
সবাই একন ব্যস্ত। কিডা কারে টিরাম্প মাইরে লাভ করবে সেই ধান্দায়। ধন সুম্পাদ জাগা জমি ক্ষেমতার জন্যি মানুস হইন্যে হইয়ে গেচে, হ্যানো কোন কাজ নেই যা কত্তি তারা পিছপা হচ্চে। সাত্তের জন্যি আপন জনও চোক পাল্টি দিতি ডানি বায় তাগাচ্চে না। ইরাম খাইন বাদাচ্চে যা অনেকে কল্পনাও কত্তি পারবে না। ধান্দায় হ্যাতো মাইতে রইয়েচে শেষবেলার সাতে কি যাবে সিডা নিয়ে ভাবার কারো টাইম নেই। কিন্তুক যকন নিজির টাইমই শেষ হইয়ে যাবে তকন কিডা কার সিডা বাইরোয় যাবে। লাভের গুড় সবাই খাবে কিন্তুক সেই গুড়ির ভাড় কেউ বতি চাবে না।
ম্যালাদিন আগে এট্টা পইদ্য শুনিলাম। ‘অত্থের বিরাট টান গতি যেন রকেট, ককনো কি ভাবিচাও কাফনের নেই পকেট’। পকেট নেই তাই এই, আর যদি থাইকতো তালি না জানি কি যে হইতো!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা