শিরোনাম |
যশোর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার সামনে দুই আসামির স্বজনদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক যুবককে ছুরিকাঘাতের চেষ্টাও করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে। এ ঘটনার পর আদালত চত্বরে উত্তেজনা বিরাজ করলে অবস্থান নেয় পুলিশ। একটি পক্ষ কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রমজান হত্যা মামলার ধার্য তারিখে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয় কলাবাগান পাড়ার সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা ও তুহিনকে। তারা হাজতখানায় ছিলেন। অন্যদিকে বাইরে অবস্থান করছিলেন তাদের লোকজনেরা। তুহিনের পক্ষ দাবি করে রমজান হত্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে, পিচ্চি রাজার পক্ষের লোকজন এর বিরোধিতা করতে থাকে। এই নিয়ে গোলোযোগের সূত্রপাত হয়। এরমাঝে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে ফেলেন পিচ্চি রাজার অনুসারী রেলগেট রায়পাড়ার চিহ্নিত মাদক কারবারী প্রিয়া খাতুন। তুহিনের স্ত্রী আঁখির সাথে তার বাগবিতন্ডা থেকে মারামারিতে রুপ নেয়। একপর্যায়ে প্রিয়ার সাথে যুক্ত হন জয় ও শিলা বেগমসহ অন্যরা। এসময় প্রিয়া লাথি মেরে হাজতখানার সামনের গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, হাজতখানার ভেতর থেকেই তুহিন ও পিচ্চি রাজা চিৎকার করে বাইরের অনুসারীদের নানা নির্দেশনা দেন। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় আশপাশের লোকজনের মাঝে আতংক বিরাজ করে।
এদিকে, এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় তুহিনের স্ত্রী আঁখি খাতুন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার অভিযোগ পিচ্চি রাজা মূলত আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তুহিনকে ফাঁসিয়েছেন। কেন তার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে তার কৈয়িফত চেয়েছিলেন তিনি। একারণেই তাকে মারপিট করা হয়েছে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন বলেন, হাজতখানার বাইরে আসামির স্বজনেরা চিৎকার চেঁচামেচি করেছেন। এসময় তাদের মধ্যে গোলোযোগ হতে পারে। তবে, হাজতখানার ভেতরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, আদালতে পর্যাপ্ত পুলিশও ছিল। সে কারণে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
চলতি বছরের ৮ মার্চ রাত সোয়া ৯টার দিকে বাড়ির সামনের বাবুর চায়ের দোকানের সামনে রমজানকে প্রকাশ্যে হত্যা করে পিচ্চি রাজা বাহিনী। এ মামলায় তাকে আটক করা হয়। এছাড়া তুহিনও এ মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন।