শিরোনাম |
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি নৃশংস আক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৮৭ জন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এ হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৩ হাজার ১৬০ জন ছাড়িয়ে গেছে। ১০২ জনসহ এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ১৬৩ জনে পৌঁছেছে। মোট আহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১ হাজার ৫১০ জন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দাবি, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজা উপত্যকাজুড়ে গুড়িয়ে যাওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। ওই সময় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে তারা। একই সঙ্গে প্রায় ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসে।
হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। যা এখনও অব্যাহত।
বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে গাজায় অবস্থিত হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।