শিরোনাম |
পূর্ব উপকূলের সমুদ্রের দিকে একটি সন্দেহভাজন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে এটিই এখন পর্যন্ত সময়ের হিসেবে দীর্ঘতম উড্ডয়ন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূলের সমুদ্রের দিকে একটি সন্দেহভাজন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) নিক্ষেপ করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) এক বিবৃতিতে বলেছে, পূর্ব সাগরের দিকে - যা জাপান সাগর নামেও পরিচিত - ক্ষেপণাস্ত্রের এই উৎক্ষেপণটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে শনাক্ত করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উচ্চ গতিপথে ছোঁড়া আইসিবিএম বলে মনে হচ্ছে,” বলে জেসিএস এক বার্তায় জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, উত্তর কোরিয়ার “লোফটেড ট্র্যাজেক্টোরিতে” দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের অর্থ হলো ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রায় উল্লম্বভাবে নিক্ষেপ করা। এর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটি খুব বেশি উচ্চতায় যেতে পারে কিন্তু তারপরে লঞ্চ সাইট থেকে ছোট অনুভূমিক দূরত্বে অবতরণ করে।
এই ধরনের উৎক্ষেপণগুলোর মাধ্যমে পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে এমন সব ডেটা সংগ্রহ করতে পারে যেগুলো দূরপাল্লার ওয়ারহেড পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ করার সময় মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সুবিধাজনক।
উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ওকুশিরি দ্বীপের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) পশ্চিমে দেশটির উত্তর হোক্কাইডো অঞ্চলে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের অতীতের যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দীর্ঘতম সময় উড্ডয়ন করেছে।
নাকাতানি সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত যেকোনও ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় উড়েছে। আমি মনে করি, এটি প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ভিন্ন হতে পারে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া এই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেনি এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ আইসিবিএম উৎক্ষেপণ করেছিল।