শিরোনাম |
পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নাট্যকার মনোজ মিত্র। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে কলকাতার সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
মনোজ মিত্রের ভাই অমর মিত্র ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে জানান, গত রাতে শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল। আজ ৮টা ৫০ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সবার প্রিয় বাঞ্ছারাম। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। তবে বাড়িতেও চিকিৎসা চলছিল; বিভিন্ন যন্ত্রের সাপোর্টও রাখা হয়েছিল তাকে। গত মাসে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর ভর্তি করানো হয় ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকে। সেখানেই মারা যান এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি শিল্পী মনোজ মিত্রের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তা ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, ক্রিয়েটিনিন এবং সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সমস্যাও ছিল তার।
সিনেমা জগতই নয়, মনোজ মিত্রের খ্যাতি ছিল নাট্যমঞ্চে। তার অভিনয় দেখার জন্য একসময় মুখিয়ে থাকতেন নাট্যপ্রেমীরা। যদিও গত কয়েক বছর ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিনোদন জগত থেকে খানিকটা দূরেই ছিলেন তিনি।
অভিনয় জীবনে তপন সিনহা, সত্যজিৎ রায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, বাসু চ্যাটার্জি, তরুণ মজুমদার, শক্তি সামন্ত, গৌতম ঘোষের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন মনোজ মিত্র। শ্রেষ্ঠ নাট্যকার বিভাগে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। তার অভিনীত ‘বাঞ্ছারামের বাগান’, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ আজও মুগ্ধ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের।
১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার ধূলিহার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনোজ মিত্র। দেশ ভাগের পর পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে যান। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। মূলত, সেখানে পড়াকালীন মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি নেন। তার পরের গল্প সবারই জানা।