শিরোনাম |
❒ অবৈধ সম্পদ অর্জন
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় রাজশাহী মহানগীর বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রদান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের রাজশাহীর সম্নিত জেলা কার্যালয় থেকে অভিযোগপত্র রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মামলার একমাত্র আসামি কালুকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের রাজশাহীর সম্নিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমির হোসেন।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলার বাদী হলেন দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম।
আদালতে প্রেরণকৃত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মহানগরীর রানীবাজার এলাকার বাসিন্দা আসামি আতিকুর রহমানের (কালু) জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সুপারিশ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আতিকুর রহমান কালু সম্পদ বিবরণী ফরম পুরণ করে নিজ স্বাক্ষরে পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহীকে সম্বোধন করে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি সম্পদ বিবরণী দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহীতে দাখিল করেন।
আসামমি আতিকুর রহমানের (কালু) দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে জমি ক্রয়, প্লট ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণে ৪,২৫,৭৩,৯২৪/- টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন ব্যাংক স্থিতিসহ ৫,৩৫,৭৬,৯৯৩/- টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৯,৬১,৫০,৯১৭/- টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা প্রদান করেন।
তদন্তকালে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ ১১,১৪,৫৭,৪৩২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আসামী ১,৫৩,০৬,৫১৫/৭৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা বা ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদান করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, আসামী মো: আতিকুর রহমান (কালু) একজন আয়কর দাতা। তার আয়কর নথি অনুযায়ী পূর্বের সঞ্চয়, বরফ মিল হতে আয়, ব্যবসার আয়, গৃহ সম্পত্তির আয়, জমি বিক্রি বাবদ আয়, আয়কর অধ্যাদেশ এর ১৯বি ধারায় ঘোষিত আয়, ব্যাংক সুদ হতে আয় এবং আয়কর অধ্যাদেশ এর ১৯এর ধারায় ঘোষিত আয়সহ মোট ১২,৩৮,১৭,৮৩০/- টাকা আয়ের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া আয় এবং দায়-দেনাসহ মোট ১২,৬৮,১৭,৮৩০/- টাকা গ্রহণযোগ্য উৎসের আয় পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয় ২,৯০,১৫,৫৮১/- টাকা। সুতরাং সঞ্চয় ৯,৭৮,০২,২৪৯/- টাকার বিপরীতে অর্জিত সম্পদের মূল্য ১১,১৪,৫৭,৪৩২/- টাকা। এক্ষেত্রে আসামী মো: আতিকুর রহমান (কালূ) এর নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে ১,৩৬,৫৫,১৮৩/- টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। মামলার অভিযোগপত্র অদ্য বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ আদালত, রাজশাহীতে প্রেরণ করা হয়েছে।