শিরোনাম |
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনীতিবিদরা শুধু ক্ষমতায় ফেরার আকাঙ্খাই করেন না, তারা বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কবল থেকে মুক্ত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন, নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এমন কাউকে দায়িত্ব দেয়া যাবে না যার কারণে সরকার বিতর্কিত হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পূর্ণগঠনে আজ যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যেন জাতি হাতছাড়া না করে। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পডবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। লালমনিরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে রংপুর বিভাগের আট জেলার বিএনপির ফুটবল দল অংশ নিচ্ছে টুর্নামেন্টে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার এসেছে একটি সংকটময় মুহুর্তে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এ জন্য সরকারকে সময় দিতে হবে আর আমাদের ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়ে সরকারকে সহযোগিতাও করতে হবে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর নেতিবাচক আলোচনার কারণে ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে মাথা উঁচু করছে। জাতির সামনে যে সংকট রয়েছে তা সমাধানের একমাত্র পন্থা হচ্ছে ধৈর্য্য। বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় ষড়যন্ত্র করেছে, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে। এই আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, প্রায় ৭০০ মানুষকে গুম করেছে। এরপরও এরা হাজার হাজার মানুষকে গুম-খুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। তবে নির্বাচিত সরকার এলে বিদ্যামান সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এ জন্য দরকার নির্বাচন ও সংস্কার।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম, বিএনপি'র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক এবং পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ উপস্থিত ছিলেন।