শিরোনাম |
কাইল আমার এক ভাইপো যাওয়ার পতে চাগাবাগা কইরে ধইরেচে। আমি মনে কল্লাম না জানি কি হইয়েচে। যে জন্যি আমারে পতে আগড়া দেচে। আমি কলাম কি হইয়েচে বাপ। ভাইপো কলে আগে বইসো। বাপ বিটায় এককাপ ধুমো উড়া চা খায় তারপর কচ্চি। তার আয়েশী কতা শুইনে জানে এট্টু পানি আইসলো। কলাম হ্যাতো কইরে যকন কচ্চিস তালি দে চা’র অডার।
চা খাতি খাতি ভাইপো আমারে কলে, চাচা দিন বহুত কিচু বদলায় যাচ্চে সিরাম বদলায় যাচ্চে বাংলা বানান। ককন কোনডার বানান কি হচ্চে সিডার জন্যি মনে হচ্চে ফেত্তে আবার ইশকুলি যাতি হবে না হলি বানান জানা কারো কাচে টিউশন পড়তি হবে। আমি কলাম দুডো এট্টা নমুনা দে, তালি বুইজদি যুইত হবেনে। ভাইপো কলে, শুনলাম গরু বানান গোরু হইয়েচে। একনতে নাই নতুন বানান রীতি অনুযায়ী ইডাই লিকতি হবে। আমি তারে কলাম যারা বানান রীতি নিয়ে কাজ করে তারা বিজ্ঞজন। তাইগের বানান বদলানোর পেচনে নিচ্চয় কড়া কোন যুক্তি আচে। না হলি বদলাবে ক্যান! আর হটাস বানান বদলালি তাতে তোর সমিস্যাডা কনে। ভাইপো কলে চাচা তুমি বুজদি পাত্তিচো না সমিস্যাডা কোন জাগায়। বানান বদলায় গেলি আমাগের ক্ষেতি পূরণ দেবে কিডা।
পেত্তমে বিষয়ডা যকন যত সহজ ভাবিলাম ভাইপোর প্যাচগোচ দেইকে ঠাহর কল্লাম হতো সুজা হবেন্না। আমি তারে কলাম দেক, আমারে হ্যাতো হ্যাপার মদ্দি ফেলাসনে, খোলসা কইরে ক’। সে এবার কলে, শোন কুটিকালে একবার গরু বানান গোরু লিকিলাম। দেকাদেকি কইরে লিকার কারনে আমাগের কয়জনের একই বানান হইলো। বাংলার স্যার আমাগের কয়জনরে সুমকি ডাইকে ছিটে কুঞ্চি দিয়ে বাইড়োয় কাচা কাচা কইরে দিলো। তাই দেইকে কিলাসের কয়জন নিকচোয় বাচেনা। একন যে পোমান হইলো সেদিন আমরাই সটিক ছিলাম উরা ভুল ছিল। তবু মাইরও খাইলাম অকোমানও হইলাম। একন বানানের রায় আমাগের দিকে আইসলো তালি সেই মাইর আর অকোমানের কি হবে সিডা কতি পারো!
আমি তার কতা শুইনে আকাটা মাইরে গেলাম। মানসির মিধা দেইকে অবাক হইয়ে যায়। কনকের হিসেব কনে মিলোয় সেই ভাবনায়। আশপাশে অনেকেই পুরোন হিসেব ইরাম মিলোয় নেচ্চে। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা