শিরোনাম |
এট্টা সুমায় ছিল যকন ওল ভত্তা কইয়ে ডাল ভত্তা খালিও গলায় চিগির বিগির কইত্তো। খুকা ওল না হলি বাদ বাকি সব ওলে গলায় খাইজলোতো। শুদু ওল না মানকচুতিও ইরাম গলা ধইত্তো হরহামেশায়। তকন ওল কচু হতো গুড়ুলে সাইজির। কিন্তু সেইরাম টেস হইতো। বয়লার কুককোড় মতো ওল কচুও হাইতের সাইজের বীজ বৈদেশতে আসা শুরু হলো। সাইজি বড়, ম্যালা দাম পাওয়ার আশায় মানুস দেশী ছাইড়ে মাদরাজ, কলম্বো ইরাম হরকোলি জাতের বীজ ব্যবহার করা শুরু কইল্লো। মাজে এক সুমায় এই নিয়ে কম হৈ জকার হয়নি। এক ওলে আইধ মন এক মন সাইজও ফলায়েচে লোকজন। দশ বারো কেজি সাইজ তো চোখ দিলিই পাওয়া যায়।
সাইজ বড় হইয়ে মালে লাভ হইয়েচে কিন্তুক তাতে সাদ গন্দও পাওয়া যায় না আগের মতো। এই নিয়ে কাল এট্টু কতা উসাইলাম। ব্যস আমার গালের কতা কাইড়ে নিয়ে বক্তিমা দিয়ার লোক চোকির পলকে জুইটে গেলো। একজন কলে, হাইবিড ওলের বীজ আইনে ওলের জাইত মারা হইয়েচে। একন বাজারে যা পাওয়া যায় তা না ওল না অইন্য কিচু বুঝায় দুস্কর। শুদু কাটতি গেলি কচকচ করে। রানলি কি খাচ্চি সিডা মালুম হয় না। একজন পাশতে কলে, রান্দার দরকার কি। কাচা ওল খালি ও কচকচ করবে। না ধরবে গাল, না পাওয়া যাবে সাদ। শুধু ওই কচকচটাই পাবা। পাশতে এক খুড়ো কলে, ওলের পাওয়োর লেস হইয়ে গেচে। ওলও একন লুথা, তাই একন গাল ধরে না। তাই শুইনে আরাক মুরুব্বী গলা বাড়ায় কলে, শুধু ওল কচুর দোষ দিয়ে লাভ কি দাদা। আমাগের আশপাশের বহুত কিচুই একন লুথা। চোকির সুমকি কত কিচু হইয়ে যাচ্চে। আমরা যাইগের মনে কইত্তাম, ওরে সব্বোরাশ এইগের মনে হয় বিশ্বঘাতি পাওয়োর কিন্তুক আচরনে দেকচি লুথা। আরাকজন নিকচোয় কলে, কিচু বাড়ির মদ্দি যিরাম বিটারা লুথা হইয়ে গেচে। আমি এইগের কতাবাত্তার শুইনে পাটায় পড়লাম। এ কি মিধা লোকজনের!
যে লাইনির কতা হোক না কেন এই বক্তিমায় তাতে কোন যায় আসে না। বিরামহীন বইগে যাতে পারে সে যে বিষায়ই হোক। কচ্চিলাম এক তা, নিয়ে গেল আরাকমুকো। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা