শিরোনাম |
মাজেমদ্দি ইরাম ইরাম খবর শুনি, ঠুস হইয়ে পড়ার জুগাড়। শুনতি পালাম এক জাগায় এক দলের সমাবেশ উপলক্কে ভুরিভোজের আয়োজন করা হইল। ইডা অহরহই হয়। কিন্তুক খবর হচ্চে নিতা কর্মীগের ভুরিভোজের আয়োজন করার জন্যি যে নিতা আয়োজন করিলেন সিডা নাই চুরায় গরু!
এক চাষীর গইলিত্তে গরু চুরি কইরে আইনে বাজারেত্তে এক কসাইরে ধইরে আনিল নিতার খাদেম। নিতার উটোনে গরু জবোই দিয়ে ছুইলে কুইটে গোস্ত বানায় দিয়ে চামড়া আর মাতা নিয়ে গিলো সেই কসাই। বাজারে আইসে সেই কসাই নিজির গোস্তোর দুকানে গরুর মাতা আর চামড়া রাইকে দিল বিক্কির বাট্টা করার জন্যি। এদিকি যে বিটার গরু চুরি হইয়েচে সে রাত্তিরি টের না পালিও বিয়ানবেলা গইলি যাইয়ে দেকে তার গরু নেই। হৈ জকারে বাড়ির লোক জড়ো হইলো। পরে চারিদিকি তলাশ করা শুরু করিল। একজনের পরামশশো মুতাবেক গিলো বাজারে গোস্তোর দুকানে। কসাইরা যদি চুরি যাওয়া গরুর বিষয়ে কোন তত্য দিতি পারে সেই আশায়। বাজারে যাইয়েই এক গোস্ত ব্যবসায়ী কসাই’র দুকানে চুরি যাওয়া গরুর মাতা দেকতি পান। পরে তলাশ কইরে গরুর চামড়াও পাওয়া যায়। এই খবর চাউর হতি এলেকার লোকজন কসাইরে গরু চোর হিসেবে শিনাক্ত কইরে বাটাম টানতি গেলি তকন সে হাত পায় ধইরে কয় তার কোন দোষ নেই। অমুক নিতার খাদেম আইসে আমারে তাইগের বাড়ি নিয়ে গিলো গরু জবোই দিয়ে গোস্ত বানায় দিয়ার জন্যি। জোন হাজরেই যাইয়ে শুদু কাজ কইরে আইছি মাত্তর। আর কোন কিচু তার জানা নেই। পরে লোকজন কসাই সমেত নিতার বাড়ি ঘের দিয়ে দেকে স্যানে মচ্চিমুলামে খায়দায় চইলতেচে। উত্তেজিত লোকজনের গ্যাঙাগেঙিতি কাজাকাজি বাইদে গিলো। ভাব বেগতিক দেইকে একজন থানায় কল কল্লি মিটগুট কত্তি পুলিশ চইলে আসে। স্বাক্কী সাবুদ শুনার পর পুলিশ নিতার খাদেম যে গরু আনিল তারে আর কসাইরে থানায় ধইরে নিয়ে গেচে।
এই খবর গাবায় গেলি দলেত্তে সেই নিতার পদ আপাতক খারিজ কইরে দেচে। খাইনডা বাইদেচে জামালপুর জিলার মাদারগঞ্জ উপজিলার আদারভিটে ইউনিয়নে। কি সব্বোরাশে কতা, কও দিনি বাপু! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা