শিরোনাম |
২০১৩ সালে ঠিক যে জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন বাবা, সে জায়গাতেই একইভাবে বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে মারো গেলেন ছেলেও। যশারের অভয়নগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে এ হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে ।
রোববার দুপুরে ঘরের পেছনে সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তার টানার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান সুজল সরকার। ২০২৩ সালে এসএসসি পাস করার পর থেকে সুজল ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন।
তার কাকা কল্লোল সরকার জানান, সুজল সরকারের বাড়ির পেছনে বিলে ১৬ কাঠার ছোট একটি মাছের ঘের রয়েছে। ওই ঘেরে বোরো চাষের সেচের জন্য একটি বৈদ্যুতিক মিটার ছিল। ২০১৩ সালে সেচের জন্য বৈদ্যুতিক মিটার থেকে সেচযন্ত্রে সংযোগ দেওয়ার জন্য তার টানার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার বাবা উজ্জ্বল সরকার মারা যান। এরপর থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আবেদন করে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার কারণে মাছের ঘেরটিও জলাবদ্ধ ছিল। সুজল সেচযন্ত্র দিয়ে ঘেরের মধ্যে বোরো ধান লাগিয়েছেন। সেখানে সেচ দেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আবেদন করে তিনি পুনরায় একটি বৈদ্যুতিক মিটার পেয়েছেন। ক্ষেতে জমে থাকা অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার জন্য সুজল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সেচযন্ত্রে সংযোগের জন্য বিদ্যুতের তার টানছিলেন। এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে তিনি পাশের বিদ্যুতের আর্থিংয়ের তারের ওপর পড়ে যান। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রকিবুল ইসলাম বলেন, আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’