শিরোনাম |
এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)১০ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আরও তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্তরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত বলে জানা গেছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২৭ জানুয়ারি ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ। সভায় ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির ১১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
কুয়েট সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এবং শিবির সন্দেহে শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১০–১২ জন নেতা–কর্মী জাহিদুর রহমানকে প্রথমে ড. এম এ রশিদ হলের ১১৫ নম্বর রুমে এবং পরবর্তী সময়ে হলের গেস্টরুমে নিয়ে দুই দফা নির্মমভাবে নির্যাতন করেন। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার নামে মামলাও করা হয়। আওয়ামী সরকার পতনের পর এ ঘটনা তদন্তের দাবি ওঠে। সবশেষ ২৭ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট (প্রতিবেদন) ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হলে ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কাররসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আজীবন বহিষ্কৃত ও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রায়হান আহমেদ , একই বিভাগের সাদ আহমেদ , সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজেদুল কবির, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আদমান রাফি ।
আজীবন বহিষ্কৃত ও ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রিজুয়ান ইসলাম , টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফুয়াদুজ্জামান ফাহিম, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেহেদী হাসান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাফাত মোর্শেদ, ও বিইসিএম বিভাগের ফখরুল ইসলাম, এ ছাড়া লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোস্তাক আহমেদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভেন্দু দাস ও একই বিভাগের ফারিয়ার জামিলকে চিরতরে প্রংশসাপত্র না দেওয়া ও বিভিন্ন মেয়াদের জন্য সনদ প্রদান না করার শাস্তি দেওয়া হয়।