শিরোনাম |
তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস-এলপিজির ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আবার বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য সরকার নতুন যে দর ঠিক করেছে, তাতে কেজিতে ১ টাকা ৯৭ পয়সা হারে বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বাড়লো গ্যাসের দাম। নতুন দর অনুযায়ী রান্নায় বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১৪৭৮ টাকা ঠিক করা হয়েছে। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন এ দর ঘোষণা করে। বরাবরের মত এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমলেও ‘টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ার’ কারণ দেখিয়ে নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার। ২ জানুয়ারি বিইআরসি বহুল ব্যবহৃত ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মত ১৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট বেড়ে যাওয়াকে কারণ দেখিয়ে ১৪ জানুয়ারি চার টাকা বাড়িয়ে সেই সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪৫৯ টাকা। রোববার বিইআরসির বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য সৌদি আরামকো ঘোষিত প্রোপেন এবং বিউটেনের গড় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি টন ৬২৮ দশমিক ৫০ ডলার, যা জানুয়ারিতে ছিল ৬১৮ দশমিক ৫০ ডলার। সেই বিবেচনায় ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী, রেটিকুলেটেড এলপিজির দাম হবে প্রতিকেজি ১১৯ টাকা ৪১ পয়সা, খুচরা পর্যায়ে প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা।
শীতকালীন সবজির দামে ক্রেতা সাধারণ সন্তুষ্টি খুঁজলেও এখন চাল, তেলসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে নেই। আর নিম্নআয়ের মানুষের বাজার দরে রীতিমত নাভিঃশ্বাস উঠেছে। এই অবস্থার মাঝেই আবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। বাজার দর নিয়ে সরকারকে আন্তরিকতার সাথে ভাবা দরকার।