শিরোনাম |
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির আকাশে যাত্রাবাহী উড়োজাহাজ ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৬৭ জনের মধ্যে ৫৫ জনকে শনাক্ত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। গত বুধবার স্থানীয় সময় রাতে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর দু’টি আকাশযানই বিধ্বস্ত হয়ে নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পোটোম্যাক নদীতে পড়ে। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াশিংটন ডিসির দমকল প্রধান জন ডনেলি বলেন, “আমার বিশ্বাস আমরা সবাইকে শনাক্ত করতে পারবো। চলমান উদ্ধার অভিযানে আমাদের করার মতো আরও কিছু কাজ আছে।”
সোমবার পোটোম্যাক নদী থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের আকাশযানগুলোর ধ্বংসাবশেষ তুলে আনা শুরু করার কথা ছিল। এক কাজে সপ্তাহখানেক বা তারও বেশি লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তা কর্নেল ফ্রান্সিস পেরা বলেন, “ধ্বংসাবশেষ বিস্তৃত একটি এলাকায় ছড়িয়ে আছে। এর কোথায় কী আছে তা নিশ্চিত হতে আমরা পৃথক কৌশল প্রয়োগ করছি।” তিনি জানান, এই অভিযান চলাকালে মানবদেহের কোনো অবশেষ যদি পাওয়া যায় তাহলে কাজ স্থগিত রাখা হবে। রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার সকালে নিহত ৬৭ জনের স্বজনরা বাসযোগে দুর্ঘটনাস্থল পোটোম্যাক নদীর তীরে এসে হাজির হন।
নদী থেকে উদ্ধার করা ধ্বংসাবশেষ ওয়াশিংটন রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের একটি হ্যাঙ্গারে রাখা হবে। পোটোম্যাক নদীর যে অংশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে তার আশেপাশের অংশসহ বড় একটি এলাকায় অনুমোদিত জলযান ছাড়া অন্যগুলোর প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রিগ্যান বিমানবন্দরের কম ব্যবহৃত দু’টি রানওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। উড়োজাহাজটির ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এর দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।