gramerkagoj
শুক্রবার ● ২১ মার্চ ২০২৫ ৭ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj

❒ একাডেমি কাপ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল

দুই হালি গোলে চ্যাম্পিয়ন শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি
প্রকাশ : রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫, ০৭:৫৮:০০ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক:
GK_2025-02-16_67b1efa9c486a.jpg

যশোরে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমির আয়োজনে অনূর্ধ্ব-১৮ একাডেমি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে দুই হালি গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমি। তারা মাগুরা ফুটবল একাডেমিকে হারিয়েছে ৮-০ গোল ব্যবধানে।
এর আগে শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমি সেমিফাইনালে ৫-০ গোলে খুলনা ফুটবল একাডেমিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। অন্যদিকে মাগুরা ফুটবল একাডেমি ১-০ গোলে জয় পেয়ে ফাইনালে পা রাখে।
বড় গোল ব্যবধানে শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমি চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু সেমিফাইনালে স্বাগতিকরা যে নান্দনিক ফুটবল শিল্পকতা দেখিয়ে সবার বাহবা কুড়িয়েছিলেন ফাইনালে তেমনটা তারা ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। তারপরও দেখা গেছে দু’দলে মধ্যে পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলতে।
শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমির আক্রমনভাগের খেলোয়াড়রা যদি গোল মিস না করতো তাহলে হয়ত এক ডজনের বেশি গোল ব্যবধানে তারা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তো। এ একাডেমি যে ফুটবল খেলোয়াড় তৈরির মানসে পরিপূর্ণ লিপ্ত তা তাদের খেলায় ফুটে উঠেছে।
ফাইনালে একক আধিপত্য বজায় রাখে স্বাগতিকরা। তারা আক্রমনের পর আক্রমন গড়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে সব সময় ব্যতিব্যস্ত করে রাখে। মাগুরা ফুটবল একাডেমির আক্রমনভাগ মাঝে মধ্যে দুই একবার গোলমুখে গেলেও তা থেকে কোন সুফল বয়ে আনতে পারেনি।
স্বাগতিক শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমিকে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ২৭ মিনিট পর্যন্ত। প্রথম গোল মুখ খোলে ২৮ মিনিটে। মাঠের পশ্চিম পার্শ্বের কর্ণার কিক থেকে হেডে দারুণ গোল করেন তারেক। তবে এর আগে ম্যাচের চার মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোল করতে পারেননি স্বপন।
স্বাগতিক একাডেমি দ্বিতীয় গোলটি করে ৩৯ মিনিটে। প্রতিপক্ষের অর্ধের ডানপ্রান্ত দিয়ে গড়া আক্রমন থেকে গোলটি আদায় করে নেন বাপ্পি।
৪৫ মিনিটে বামপ্রান্ত দিয়ে প্রতিপক্ষের ছোট ডি বক্সের মাথায় আড়াআড়ি ভাবে বল ঠেলে দেন মাহিন তার সতীর্থ স্বপনের উদ্দেশ্যে। তা থেকে ঠান্ডা মাথায় তিনি গেল করেন। ৪৯ মিনিটে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন বাপ্পি। এই গোলটি তারা পায় পাল্টা আক্রমন থেকে। শামস্-উল হুদার বড় ডি বক্সের মধ্যে সহজ গোলের প্রথম সুযোগ পায় মাগুরা। প্রথমে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বদলী নামা আশিক। গোলরক্ষক প্রথম দফায় কিছুটা রক্ষা করলেও সেই বলটি পেয়ে যায় অরক্ষিত জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা পায়েল। কিন্তু তিনিও গোল আদায় করে নিতে পারেনি। পাল্টা আক্রমন গড়েই গোলটি আদায় করে নেয় বাপ্পি।
চার গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়রা। বিরতি থেকে ফিরে ৫৫ মিনিটে দলের পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন মহিন। ষষ্ঠ গোলটি আসে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে। এ গোলটি করেন আহসান। সপ্তম গোলটি করেন ৬৭ মিনিটে রাব্বি আর ৭৫ মিনিটে অষ্টম গোলটি করেন আহসান। এটি ছিল তার দ্বিতীয় গোল।
ম্যাচ শেষে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান। শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমির সহসভাপতি মোহাম্মদ শফিকউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সহসভাপতি এম, এ লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শামস্-উল হুদা ফুটবল একাডেমির পরিচালক এডমিন শামস্-উল বারী শিমুল, সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান টনি ছাড়াও ক্রীড়া সংগঠক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

 

আরও খবর

🔝