gramerkagoj
শুক্রবার ● ৪ জুলাই ২০২৫ ২০ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম ৫ আগস্টের পর রামিম-তাশরিকদের আরেক ‘যুদ্ধ’ খোঁজা হচ্ছে নগদের ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নেপথ্যের ব্যক্তিদের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দরকার একটি নির্বাচিত সরকার : নার্গিস বেগম ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে করলা: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই তেঁতো ওষুধ ইতিহাস গড়া মেয়েদের অভিনন্দন যশোরে প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় এসিড নিক্ষেপ, তরুণীসহ তিনজন আহত যশোরে চোরাই অটোরিকশার যন্ত্রাংশসহ আটক এক, তিনজনের নামে মামলা অস্ত্র মামলায় যশোর কাজীপাড়ার প্রান্তের ১৭ বছর কারাদন্ড খোঁজা হচ্ছে নগদের ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নেপথ্যের ব্যক্তিদের যশোরে লাইলি-মজনুকেও হার মানালো রহিম-সোহাগীর প্রেম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষকের প্রতিকি ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ , ২০২৫, ০৩:৫৬:০০ পিএম
হাফিজুর রহমান পান্না, রাজশাহী ব্যুরো:
GK_2025-03-11_67d00776b79d6.jpg

দ্রুততম সময়ে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ করে আন্দোলন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের পাশে ফাঁসির মঞ্চ তৈরী করে সেখানে প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে। দেশজুড়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা ১২টা হতে এই আন্দোলন শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ফাঁসির মঞ্চ ঘিরে শিক্ষার্থীরা সমবেত হন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, শুধু আছিয়া নয় বর্তমানে দেশে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণসহ নানা অপরাধে দেশে অস্তিতিশীল হয়েছে। আমরা চাই ধর্ষকের আসামীর ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ৩০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য শেষ করা। রাষ্ট্র যে ১৮০ দিনের বিধান রেখেছে তা প্রত্যাখান করছি কেননা এই সময়ে অন্যকিছু ইস্যু চলে আসবে এবং এটা ধামাচাপা পড়ে যাবে তাই দ্রুততম সময়ে ধর্ষকের ফাঁসির রায় দ্রুত সময়ে করার দাবি জানাচ্ছি।
কর্মসূচিতে নাজিফা আনজুম মিম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ধর্ষকের কঠিন বিচার, অর্থাৎ মৃত্যুদÐ কার্যকর করতে হবে। আমাদের ইন্টেরিম সরকার ধর্ষকের বিচারে ১৮০ দিনের টালবাহানা করছে, ততদিনে বাংলাদেশে আরও হাজার হাজার ইস্যু চলে আসবে এবং এটি ধামাচাপা পরে যাবে। যেমন আমরা তনুকে ভুলে গেছি, তেমনি এই ১৮০ দিনে আমরা আছিয়াকেও ভুলে যাব। তাই যত দ্রæত সম্ভব ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক কামরুল ইসলাম সজিব বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ আয়োজন। আমরা এই ফাঁসির মঞ্চ থেকে ইন্টেরিম সরকারকে একটা মেসেজ দিতে চাই যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষকের যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদÐ, তারা যেন দ্রত বাস্তবায়ন করে একটা নজির সৃষ্টি করে। বর্তমান সরকার কে অনুরোধ করব, ধর্ষণের তদন্তের জন্য যে ডিএনএ স্যাম্পলিং মেশিন দরকার যেটা শুধু ঢাকায় আছে, সেটা যেন প্রত্যেক বিভাগে দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আজকের এই মঞ্চকে আমরা বাংলাদেশের সকল ধর্ষকের ফাঁসির মঞ্চ হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করতে চাচ্ছি। এখানে একটা দলকে এলিট শ্রেণী দেখে তাদের বিচারকার্য স্থগিত করা যেন না হয়, র‌্যাব আলেপের বিচারকার্য এই ফাঁসির মঞ্চে সম্পন্ন করতে হবে, তেমনি আছিয়ার ধর্ষকের বিচারকার্য এই মঞ্চেই সম্পন্ন করতে হবে। পররাষ্ট্র ক্যাডারের বাবার বিচারও এই মঞ্চেই করতে হবে।
এছাড়াও তারা, ‘ধর্ষকের শাস্তি, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন? ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ছাত্র সমাজের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘রাবিয়ানদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ধর্ষকের বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আরও খবর

🔝