gramerkagoj
সোমবার ● ২৪ মার্চ ২০২৫ ১০ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj

❒ ঈদ বাজার

বেচাকেনা শুরু গজ কাপড়ের দোকানে
প্রকাশ : বুধবার, ১২ মার্চ , ২০২৫, ০৯:২০:০০ পিএম
মিনা বিশ্বাস:
GK_2025-03-12_67d160065c75f.jpg

উৎসবের কেনাকাটার প্রথম ধাপে থাকে পোশাক। পোশাক দিয়েই শুরু হয় কেনাকাটা। আর সে উৎসব যদি হয় ঈদুল ফিতরের মতো বড় উৎসব, তবে নিজেকে সাজাতে দরকার হয় আরও বাড়তি প্রস্তুতির। বাজারের প্রচলিত ঘরানার রেডিমেড পোশাকে অনেকেই সন্তষ্ট হতে পারেন না। পছন্দসই মাপজোক আর মনমতো ডিজাইনের কারনে বানানো পোশাকে নির্ভর করেন তারা। ঈদের এ সময়টাতে সাধ্যমতো সকলেই চেষ্টা করেন পছন্দের পোশাকটি বানিয়ে নিতে।
ইতিমধ্যে ১০ রোজা অতিবাহিত হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যশোরের বিভিন্ন বিপণীবিতানগুলো সেজে উঠেছে। অধিকাংশ দোকান খুলছে সকাল ১০টায় পর থেকে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও কেনাকাটা করতে আসছেন যশোরের বিভিন্ন উপজেলা শহর ও বাইরের জেলা শহরগুলোর ক্রেতারাও। দেশি বিদেশী নানান ধরণ ও দামের গজ কাপড় বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দের কাপড়টি বেছে নিচ্ছেন বিভিন্ন বিপণীবিতান থেকে। তবে গত বছরের মতো এবারেও কাপড়ে বাড়তি দর অব্যাহত রয়েছে।
গজ কাপড়ের দরদাম
শহরের এইচ.এম.এম রোড, মোমিননগর মার্কেট, কালেক্টরেট মার্কেট, হাটখোলা রোডের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে নানান দামে গজ কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। মোমিননগর ও হাটখোলা রোডের কাপড়ের দোকানে এক রঙা ও প্রিন্টের সুতির গজ কাপড় সর্বনি¤œ ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা গজ দরে পাওয়া যাচ্ছে। পুরুষদের পাঞ্জাবীর কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১৮০টাকা গজে। শার্টের কাপড় ১৫০ থেকে ৬০০টাকা। প্যান্টের কাপড় ৩০০ থেকে এক হাজার ৫০টাকা। এইচ.এম.এম রোডে বিভিন্ন দোকানে সুতি ও সিনথেটিক গজ কাপড় বিক্রি হচ্ছে সর্বনি¤œ ৮০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০টাকা গজ দরে। ভয়েল ৭০ থেকে ১০০টাকা গজ। সুতির গজ কাপড় ৮০ থেকে ১৪০টাকা। ভারতীয় গজ কাপড় ১৮০ থেকে ৪০০টাকা। চায়না ২৫০ থেকে ৬৫০টাকা। অরগাঞ্জা ২৩০ থেকে ৫০০টাকা। সুতির অরগেন্ডি ২৫০ থেকে ৪০০টাকা, এক রঙা লিলেন ১৩০টাকা, প্রিন্ট লিলেন ১৮০টাকা, ডিজিটাল প্রিন্ট ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, সুতির ওপরে চিকেন প্রিন্ট ৪০০ থেকে ৫০০টাকা গজ। সামু সিল্ক ২০০টাকা, রয়েল সিল্ক ২৪০টাকা, বোম্বে সিল্ক ৩৮০টাকা, গ্রামীণ চেক ৯০ থেকে ১৮০টাকা, উমা ফেব্রিক্স ৪৮০টাকা, সিল্কের ওপরে আফসানের কাজ ৪০০টাকা, সিকোয়েন্স ৩২০ থেকে ৩৮০, টিস্যু কাপড় ১১০টাকা, নেটের ওপরে চুমকি, পুঁতি, স্টোনের কাজের কাপড় ২৫০ থেকে এক হাজার ৫০০টাকা। পুরুষদের পাঞ্জাবীর কাপড় ১৫০ থেকে এক হাজার ১০০টাকা, পাকিস্তানী পাঞ্জাবীর কাপড় ২৩০ থেকে ২৫০টাকা। প্যান্টের পিছ ৭৫০ থেকে তিন হাজার টাকা।
যা বলছেন ক্রেতারা
ঝিকরগাছা থেকে আসা শিশু খুকুমনি বলেন, ঝালর দেয়া একটি ফ্রক বানাবো, তাই নেটের কাজের কাপড় কিনেছি। ঈদের দিন সকালে এটি পরবো। এছাড়াও আরও জামা কিনবো।
ঝিনাইদহ থেকে আসা শামসুল আলম বলেন, পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। আমার মেয়ে বানানো জামা নেবে, তাই একটু আগে ভাগে আসলাম। এবারেও কাপড়ের দাম আগের বছরের মতোই বাড়তি।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক উপ-সচিব আব্দুল খালেক বলেন, বানানো পোশাক মনের মতো হয়, তাই শত ব্যস্ততা থাকলেও অনেকেই ঈদে পোশাক বানিয়ে নেন। তবে কাপড়ের দাম এবারেও চড়া মনে হচ্ছে।
যা বলছেন বিক্রেতারা
মোমিননগরের জনতা বস্ত্রালয়ের বিক্রয়কর্মী মশিয়ার রহমান বলেন, বিক্রি দুদিন হলো শুরু হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে ভালো বিক্রির আশা করছি।
এইচ.এম.এম রোডের মামুন ট্রেডার্সের বিক্রয়কর্মী আজিজুল ইসলাম বলেন, আট রোজার পর থেকে ক্রেতারা আসছেন, তবে কাপড়ের দরদাম বেশি হওয়ায় বেচাবিক্রি সেভাবে হচ্ছে না।
যশোর ক্লথ স্টোেরর সত্ত্বাধিকারী বজলুর রহমান বলেন, শবেবরাতের পর থেকে বেচাকেনা শুরু হয়েছে, আমাদের বেচাকেনা ভালো চলছে।

আরও খবর

🔝