gramerkagoj
সোমবার ● ২৪ মার্চ ২০২৫ ১০ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj
প্রসঙ্গ: রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ , ২০২৫, ১০:০৯:০০ এএম
:
GK_2025-03-13_67d25a6019364.jpg

‘তহবিল ঘাটতির’ কথা তুলে ধরে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তায় খরচের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমাচ্ছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। আকস্মিক এমন খবরে উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও। তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্তে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার দুর্ভোগের পাশাপাশি আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী নোয়াখালীর ভাসানচরসহ কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে খাদ্য-সহায়তা দিয়ে আসছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। কিন্তু হঠাৎ করে ‘তহবিল ঘাটতির’ কারণ জানিয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য-সহায়তায় খরচের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমাচ্ছে ডব্লিউএফপি। যেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক খাবারের বরাদ্দ সাড়ে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে জনপ্রতি ছয় ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম দিন থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এ নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার। তারা বলছেন, এমনিতে খাদ্যসংকটে, তার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে। উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা রশিদ আহম্মদ বলেন, আমাদের আগে রেশন দেওয়া হতো সাড়ে ১২ ডলার। ওটা দিয়ে ঠিকমতো খাবার খেতে পারতাম না। এখন শুনছি সেই সাড়ে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলার রেশন দেওয়া হবে। এ নিয়ে সবাই চিন্তিত। খাবারের অভাবে মানুষের মধ্যে হানাহানি শুরু হবে। ২০২৩ সালে খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ১২ থেকে ১০ ডলার এবং তার দুই মাস পর থেকে তা আরও কমিয়ে ৮ ডলার করা হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের জুনে সেখান থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ৫০ ডলার করা হয়েছিল। বর্তমানে এই সহায়তা কমিয়ে আনলে সমস্যা অনেক বেড়ে যাবে।

আরও খবর

🔝