gramerkagoj
সোমবার ● ২৪ মার্চ ২০২৫ ১০ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj

❒ ইসরায়েলের পদক্ষেপ যুদ্ধাপরাধ

গাজায় বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ , ২০২৫, ১০:২০:০০ এএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2025-03-13_67d25cf26328b.jpg

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়াতে এবার বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ করে দিল ইসরায়েল। খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করার পর এবার ইসরায়েলি প্রশাসন গাজার বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি কৌশল, যা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ নিয়ে আলোচনাকে প্রভাবিত করতে পারে। টানা বেশ কয়েকদিন ধরে এই অবরোধ জারি রেখেছে তারা।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যায়িত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ অব্যাহতভাবে বন্ধ করে দেওয়াকে “যুদ্ধাপরাধ” বলে আখ্যায়িত করে বুধবার নিন্দা জানিয়েছে।
গাজার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের চলমান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং দেইর আল-বালাহ ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহের সীমিত লাইন সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন করাটা যুদ্ধাপরাধ যা তৃষ্ণার্ত মানুষের বিপর্যয়ের মুখে পতিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।”
হামাস বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ইসরায়েলের পানি ও খাদ্যকে ব্যবহার করছে এবং এটি আসলে “গাজার মানবিক বিপর্যয়কে আরও খারাপ করার একটি পদ্ধতিগত প্রচেষ্টার অংশ।”
একইসঙ্গে গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার ওপর “অভূতপূর্ব সমন্বিত শাস্তি” আরোপের জন্যও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে অভিযুক্ত করেছে হামাস।
আনাদোলু বলছে, যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের ওপর অবরোধ আরোপের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে গত রোববার ইসরায়েল গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ইসরায়েলি এই পদক্ষেপকে “গণহত্যার সতর্কতা” হিসেবে নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, বিদ্যুৎ ছাড়া পরিষ্কার পানি পাওয়া যাবে না। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করার ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের পরে স্থানীয় এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের অনাহারের সম্মুখীন হওয়ার বিষয়েও সতর্কতা জারি করেছে।
মঙ্গলবার গাজা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মুখপাত্র মোহাম্মদ থাবেত বলেন, গত নভেম্বর থেকে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে মাত্র পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। আর সম্প্রতি গাজার বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।
হামাস বলেছে, ইসরায়েলের গাজা ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির “গুরুতর লঙ্ঘন” এবং “আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন”।
এছাড়া জাতিসংঘ, মানবিক সংস্থা এবং আরব রাষ্ট্রগুলোকে “এই বর্বর অপরাধ বন্ধ করতে”, অবরোধ তুলে নিতে এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের সামনে ইসরায়েলি নেতাদের জবাবদিহি করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

আরও খবর

🔝