শিরোনাম |
রাজশাহীতে এ বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৮৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদ্রাসায় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার থেকে সংগৃহীত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পর্যালোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গম বা আটার গড়মূল্য প্রতি কেজি ৫০ টাকা ধরে ১.৬৫০ কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ টাকা। যবের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৮০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ২৬৫ টাকা। এ ছাড়া বাজারের মধ্যমানের খেজুরের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৬০০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য ধরা হয়েছে দুই হাজার টাকা। মধ্যমানের কিশমিশের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ১৫০ টাকা। পনিরের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৭০০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৩১০ টাকা।
সভার সঞ্চালক ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ফিতরার নির্ধারিত পণ্যমূল্যের সঙ্গে ১-২ টাকা যোগ করে আদায়যোগ্য টাকার অংককে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত আলেম-ওলামা সর্বনিম্ন ফিতরাকেই আদর্শ না ধরে সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি পরিমাণ ফিতরা আদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ, জামিয়া ইসলামিয়া মিয়া মোহাম্মদ কাসেমী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মো: নেক আহমাদ।
এছাড়াও সভায় রাজশাহীর দারুল উলুম মালোপাড়া মাদ্রাসা, জামেয়া ওসমানিয়া মাদ্রাসা, হামাউস সুন্নাহ মুশরইল মাদ্রাসা, জামেয়া সদ্দিকিয়া চণ্ডীপুর মাদ্রাসা ও দারুল আরকাম রায়পাড়া মাদ্রাসার প্রতিনিধিবৃন্দ।