gramerkagoj
সোমবার ● ২৪ মার্চ ২০২৫ ১০ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj
আছিয়ার জন্য শোকের বন্যা !
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ , ২০২৫, ০৭:১৩:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2025-03-13_67d2e1d798509.jpg

ছোট্ট একটি মেয়ে, নাড়া দিয়ে গেল গোটা দেশকে। মাগুরার সেই শিশু- যার নাম আছিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় না ফেরার দেশে চলে গেল সে। তার জন্যে যেন শোকের বন্যা চারদিকে,গোটা দেশে-সব মহলে।

আছিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন তারকারা
অন্যান্য মহলের মতো দেশের তারকারাও শোক জানিয়ে দিয়েছেন পোস্ট। আছিয়ার কষ্ট ছুঁয়ে গেছে তাদের হৃদয়।
শোক জানিয়ে সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘আছিয়া, তুমি ঘুমাও মা। যে অবর্ণনীয় কষ্টের ভেতর দিয়ে তোমাকে যেতে হয়েছে, আল্লাহ নিশ্চয়ই এর বিচার করবেন, এই জমিনেই করবেন। জান্নাতের মেহমান হিসেবে শান্তিতে এখন ঘুমাও, মা।’
তমা মির্জা লিখেছেন, ‘শোনেন, পশু ধরে রেখে দেয় না, মেরে ফেলে। আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হয়, রেখে দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে হয় না। দশ-বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না। ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সঙ্গে সঙ্গে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন। কিন্তু বাঁচিয়ে রাইখেন না।’
শোক জানিয়ে সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা লিখেছেন, ‘বেহেশতের ফুল আছিয়া, বেহেশতে চলে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ।’
রুকাইয়া জাহান চমক অপরাধীদের ফাঁসি চেয়ে লিখেছেন, ‘আগামী তিনদিনের মধ্যে আছিয়ার ধর্ষককে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে ফাঁসি দেয়া হোক। ধর্ষণের বিচারে দৃষ্টান্ত তৈরি করুক বাংলাদেশ।’
ফারহান আহমেদ জোভান লিখেছেন, ‘আমাদের মাফ করে দিও আছিয়া। আমরা তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না।’
ইরফান সাজ্জাদ সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার দিয়ে লিখেছেন, ‘আল্লাহ আপনি বিচার কইরেন।’
ইয়ামিন হক ববি লিখেছেন, ‘মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আর নেই! আমরা বাকরূদ্ধ ও বিক্ষুব্ধ! আমরা শিশুটির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ও লজ্জিত!’
শাহরিয়ার নাজিম জয় লিখেছেন, ‘আছিয়ার মৃত্যু শুধুই একটা মৃত্যু নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর, প্রতিটি নারীর আজীবনের অভিশাপ। প্রতিটা সুস্থ পুরুষের নিজের মেয়ের কাছে আমৃত্যু ছোট হয়ে থাকা।’
শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘এ শহরে আর কোনো কন্যার জন্ম না হোক। মাতৃহীন,ভগ্নিহীন,কন্যাহীন মরুভূমি হোক এদেশ। কুলাংগারের আবাদ হোক!’
উল্লেখ্য, গত ০৬ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের নান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা আড়াইশ বেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ০৭ মার্চ রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত পরপারে পাড়ি জমালো আছিয়া।

 

আরও খবর

🔝