gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বৈশাখ ১৪৩২
gramerkagoj
ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল , ২০২৫, ০৭:১৭:০০ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক:
GK_2025-04-15_67fe54301a97d.jpg

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যালয়ে অভিযানে যায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট দুদকের দল অভিযান চালায়। অভিযান শেষে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিসিবির আয়োজনে ১৯ কোটি টাকা এবং বিপিএলের আয়-ব্যয় ও তৃতীয় বিভাগের দল নির্বাচন ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সেই কর্মকর্তা।
মূলত তিনটি নির্দিষ্ট অভিযোগের কথা জানিয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন। গণমাধ্যমকে জানিয়েছন, তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগে এবার ৬০টি দল অংশ নিয়েছে। আগে ২-৩ বা সর্বোচ্চ ৪ দলের লিগ হতো। এখানে হয়তো কোনো কারণ আছে। আমরা কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা বোর্ডের কোনো প্রভাব ছিলো কি না দেখার জন্য।
বোঝা যাচ্ছে, আগে হয়তো অংশগ্রহণের স্বাধীনতা ছিলো না, কোনো চাপ ছিলো, যে কারণে দলগুলো আসতো না। আমরা বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করে বুঝতে পারবো এখানে কি অসংগতি ছিলো। বিপিএলের টিকিট বিক্রি নিয়ে বিসিবির আয়-ব্যয়ে অনেক গরমিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আল আমিন। দুদকের সহকারী বলেছেন, বিপিএলের তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত বিসিবি যে আয় দেখিয়েছে, তা প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
অথচ একাদশ আসরে অনলাইন টিকিট বিক্রি করেই বিসিবি আয় করেছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। আগে টিকিট বিক্রির তথ্য হয় গোপন রাখা হয়েছে, অথবা সেখানে বড় ধরনের অর্থ আত্মসাৎ ঘটেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ উদযাপন ঘিরে ১৯ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না বলেও জানিয়েছেন আল আমিন। তিনি বলেছেন, মুজিব শতবর্ষের ব্যয়ের হিসেবে কিছু অস্বাভাবিকতা আছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এসব যাচাই-বাছাই করে আমরা আমাদের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে প্রতিবেদন দাখিল করবো। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। কনসার্টসহ যে আয়োজন হয়েছিলো, সেখানে সব মিলিয়ে ২৫ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। আমরা এই অভিযোগ পেয়েছি। তবে আসলে খরচ হয়েছে সাত কোটি টাকার মতো। এখানে প্রায় ১৯ কোটি টাকা সরানো হয়েছে বা কিছু হয়েছে। এ রকম অভিযোগ আমরা পেয়েছি।
দুদকের অভিযান শেষে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনায় বিসিবি সব সময়ই সহযোগিতা করে এসেছে। দুদকের পক্ষ থেকে যে নথিপত্র চাওয়া হয়েছে, আমরা তা সরবরাহ করছি।

আরও খবর

🔝