gramerkagoj
রবিবার ● ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ১১ কার্তিক ১৪৩২
gramerkagoj

❒ পুলিশ সেজে ফোন করে হয়রানী

কলম প্যাকিং প্রতারক চক্র মাঠে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতাচ্ছে
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২৫, ১০:০০:০০ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি:
GK_2025-04-29_6810fa0773651.jpg

কলম প্যাকিং কোম্পানির নামে কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেকার লোকজনকে পথে বসাচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র। এমনকি পুলিশ সেজে ফোনে টাকা দাবি করে বেকারদের হয়রানী করানো হচ্ছে।
২৯ এপ্রিল মাহমুদা আক্তার লিজা নামে এক নারীসহ কয়েকজন গ্রামের কাগজ দপ্তরে এসে ওই প্রতারক চক্র সম্পর্কে নানা তথ্য দেন। একইসাথে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। চক্রকে শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
যশোর থানায় দেয়া অভিযোগ থেকে তথ্য মিলেছে, সম্প্রতি একটি প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যাসেঞ্জার ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ স্থাপন করে বিভিন্ন বেকার নারী পুরুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছে। আর কৌশলে তাদের ভাল বেতনে কাজ করার সুযোগ দেয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছে। আর মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ নগদ ও অন্য মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। আর পথে বসাচ্ছে লোকজনকে।
এরমধ্যে প্রতারিত এক নারীর নাম মাহমুদা আক্তার লিজা। তিনিও সরল বিশ্বাসে চাকরির প্রলোভনে পড়ে খুইয়েছেন টাকা। তবে টাকা কম হলেও তিনি চান প্রতারক চক্র শনাক্ত হোক, পাক সাজা।
খোলাডাঙ্গা গাজীর বাজার এলাকার সুমনের ভাড়াটিয়া জনির স্ত্রী মাহমুদা আক্তার লিজা (২১)। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, ০১৮৩৩৭৯৫৭৮৬ ও ০১৯৬৮৫৮৬৭৯১ বিকাশ নাম্বারধারী প্রতারক গত ২৬ এপ্রিল সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে কলম প্যাকিং নামে একটি ইমো আইডি থেকে লিজার ইমো আইডিতে নক করে। জানানো হয় কলম কোম্পানিতে কাজ দেবেন। আর মেসেজ করে ০১৮৭৪০৬৭৭১৫ এই মোবাইল নাম্বারটি দেয়। ওই প্রলোভনে বিশ্বাস করে ওই দিনই সকাল ৭টা ৪৯ মিনিটে প্রতারক চক্রের ০১৮৭৪০৬৭৭১৫ নাম্বারে কল দিলে সাইট রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৮শ’৫০ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে লিজাকে ২০ হাজার পিস কলম দেবে বলে আরো ৩ হাজার টাকা দাবি করে বিকাশ নাম্বারে পাঠাতে বলে। ২৮ এপিল সকাল ৮:টা ৫৯ মিনিটে লিজা তার পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার ০১৮৫৮৫৮৪০৪৭ থেকে প্রতারকের ০১৮৩৩৭৯৫৭৮৬ এই নাম্বারে ২ হাজার ৫শ’ টাকা পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে প্রতারক চক্রের লোকজন কলম না পাঠিয়ে উল্টো পুলিশ সেজে ফোন করে। জানায় লিজার ওয়ার্ডার করা নকল কলম ধরা পড়েছে পথে। ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে, নইলে আটক হয়ে যাবেন লিজা। দফায় দফায় টাকা দাবি ও পুলিশ সেজে ৩০ হাজার টাকা দাবির ঘটনায় লিজার সন্দেহ হলে তিনি ২৯ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেছেন। জানিয়েছেন ওই চক্রটি ফ্রট। দ্রুত তাদের শনাক্ত করে আটক করতে হবে। নইলে তার মত হাজার হাজার বেকার ওদের চক্রে পড়ে পথে বসবে।
এদিকে অভিযোগটি তদন্ত করছেন যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই তানিম আহমেদ।

আরও খবর

🔝