gramerkagoj
রবিবার ● ১ জুন ২০২৫ ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
gramerkagoj

❒ ‘পুশ-ইন’ ইস্যুতে শফিকুর রহমান

আগ্রাসনকে স্পষ্টভাবে ‘না’ বলুন
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৮ মে , ২০২৫, ১০:৩৬:০০ এএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2025-05-08_681c34c8b1b72.jpg

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগ্রাসনকে স্পষ্টভাবে ‘না’ বলুন। ভারত খাগড়াছড়ি ও কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্ত দিয়ে ১০২ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৮ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
পোস্টে তিনি বলেন, গায়ের জোরে, অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ এর নামে যে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশ ও এর জনগণ মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়। মহান আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে আমরা মাথা নত করবো না।
পোস্টে তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে আমাদের সরকার যেন কোনো দুর্বলতা না দেখায়। আগ্রাসনকে স্পষ্টভাবে ‘না’ বলুন।
ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঘটনায় গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কেস আলাদা আলাদাভাবে নিরীক্ষণ করছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশের নাগরিক যদি কেউ হয়ে থাকেন আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের আমরা গ্রহণ করবো। তবে এটা ফরমাল চ্যানেলে হতে হবে। এভাবে পুশ-ইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়।’
এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না, জানতে চাইলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’
জানা যায়, গতকাল বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ির জেলার মাটিরাঙ্গা, রামগড় ও পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ৮১ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ। এর মধ্যে মাটিরাঙ্গার গোমতীর শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন, আচালং এলাকায় ২৩ জন, পানছড়ির লোগাং দিয়ে ৩০ জন এবং রামগড় সীমান্ত দিয়ে একজনকে পুশ ইন করা হয়। তারা সবাই ভারতের গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশু। পুশ ইন করা ব্যক্তির সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তারা ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা। বাংলা ভাষাভাষী হলেও তাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতে। তাদের দাবি, বিএসএফ সদস্যরা তাদের গুজরাট থেকে উড়োজাহাজে করে ত্রিপুরায় নেন। এরপর মাটিরাঙ্গার খেদাছড়া ও যামিনীপাড়া এবং পানছড়ির সীমান্তবর্তী রুপসেনপাড়া এলাকা দিয়ে তাদের পুশ ইন করে।
এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্ত দিয়ে আরও ৩৬ রোহিঙ্গাকে পুশ-ইন করার খবর পাওয়া গেছে।

আরও খবর

🔝