gramerkagoj
সোমবার ● ৩০ জুন ২০২৫ ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
ইসরায়েলি হামলায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত ৪০০’র বেশি
প্রকাশ : রবিবার, ২৯ জুন , ২০২৫, ০৯:৫৪:০০ এএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2025-06-29_6860b8ea80181.jpg

গাজা উপত্যকায় টানা ২৪ ঘণ্টার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক মানুষ। শনিবার (২৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত এসব হামলা চলে গাজার বিভিন্ন এলাকায়। হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

গাজার রাজধানী শহরের একটি স্টেডিয়ামের কাছে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। স্থানীয় আল-শিফা হাসপাতালের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু ছিল। স্টেডিয়ামটি ছিল বাস্তুচ্যুতদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থল।
বিবিসির যাচাইকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্থানীয়রা খালি হাতে ও কোদাল দিয়ে বালু খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী আহমেদ কিশাউই বলেন, “এই এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী ছিল না। ছিল কেবল শিশু ও সাধারণ মানুষ। তাঁবুগুলো এখন বালুর নিচে চাপা পড়েছে।”

গাজার দক্ষিণের আল-মাওয়াসি এলাকাতেও বিমান হামলায় প্রাণ হারান আরও ১৪ জন, যাদের মধ্যে ছিল শিশুরাও। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, এক পরিবারে তিন শিশু ও তাদের বাবা-মা ঘুমন্ত অবস্থায় নিহত হয়েছেন। তাদের দাদি সুয়াদ আবু তেইমা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “এই শিশুরা কী দোষ করেছিল?”

আরও পড়ুন...

এইচএসসি পরীক্ষায় ফিরলেন আনিসা আরিফা

টিভিতে আজকের খেলার সূচি


শনিবার বিকেলে গাজার জাফা স্কুলের কাছে তুফফাহ এলাকায় এক বিমান হামলায় মারা যান কমপক্ষে আটজন। এর মধ্যে পাঁচজনই শিশু। ঘটনাস্থলে ছিল শত শত বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী। প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ হাবুব বলেন, “আমার ভাগ্নে, বাবা, প্রতিবেশীদের সন্তান সবাই এই হামলায় মারা গেছে। আমরা তো বেসামরিক মানুষ, আমাদের ওপর কেন এমন হামলা?”

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর অনেক জায়গায় এখনও পৌঁছাতে পারেনি অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দল। ধ্বংসস্তূপ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তায় আটকে পড়েছেন অনেক আহত ও নিহত মানুষ।

গত মার্চে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়, যা ভেঙে দেয় ১৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই তিনধাপবিশিষ্ট চুক্তির প্রথম ধাপ শেষ হলেও দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছানো যায়নি। দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের কথা ছিল।

হামাসের এক ঊর্ধ্বতন নেতা বৃহস্পতিবার বিবিসিকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা এখনো অচলাবস্থায় রয়েছে।

ইসরায়েলের হাতে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে শনিবার সন্ধ্যায় তেলআবিবে এক বিশাল সমাবেশ হয়। আয়োজকরা বলেন, “যুদ্ধ শেষ করে এক দফায় সবাইকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে।”

আরও খবর

🔝