gramerkagoj
সোমবার ● ৩০ জুন ২০২৫ ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj

❒ দীর্ঘ অনিশ্চয়তার অবসান

সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে এশিয়া কাপ
প্রকাশ : রবিবার, ২৯ জুন , ২০২৫, ০৪:৩১:০০ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক:
GK_2025-06-29_68611325376c9.jpg

দীর্ঘ অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা সংশয় পেরিয়ে অবশেষে আলো দেখতে শুরু করেছে এশিয়া কাপ ২০২৫। ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ছায়ায় পড়ে আয়োজনে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাতে উদ্যোগ নিচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই মাঠে গড়াতে পারে এই বহুল প্রতীক্ষিত ক্রিকেট আসর।

বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এশিয়া কাপ ২০২৫ শুরু হতে পারে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে। এবারের আসরটি অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, যেখানে অংশ নেবে মোট ৬টি দল— ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইতোমধ্যেই কিছু প্রোমোশনাল কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন...

আজ সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ

জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত ২৪ লাখ মানুষ : সমাধানে রাজশাহীতে কর্মশালা


চলতি আসরে আনুষ্ঠানিক স্বাগতিক ভারত হলেও, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত কারণে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত শীর্ষে রয়েছে। সেইসঙ্গে বিকল্প হিসেবে হাইব্রিড ফরম্যাটের কথাও আলোচনায় রয়েছে, যার আওতায় কিছু ম্যাচ অন্য দেশেও আয়োজন করা হতে পারে।

সম্প্রতি কাশ্মিরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলা ও ভারতের অপারেশন সিঁদুর পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তোলে। ভারতের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বয়কটের জোরালো দাবি উঠেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ভারত ও পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে না, আর সেটিই এশিয়া কাপ আয়োজনের উপর প্রভাব ফেলে।

এমনকি, আইসিসির পরবর্তী সভায় বিশ্বমঞ্চে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বয়কটের বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

যদিও বিসিসিআই রাজস্বের দিক দিয়ে স্বনির্ভর, তবে আইসিসি, এসিসি এবং অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোর জন্য ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলো বিশাল আর্থিক উৎস। এ ধরনের ম্যাচগুলোর মাধ্যমেই বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন হয়, যা অনেক বোর্ডের টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে সময়সূচি, ভেন্যু এবং ফরম্যাট নিয়ে। সেইসঙ্গে আরও পরিষ্কার হবে, রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও কীভাবে ক্রিকেট কূটনীতি এবং কৌশলের মাধ্যমে টিকে থাকে এবং টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব হয়।

আরও খবর

🔝