শিরোনাম |
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, গাজায় এই আগ্রাসন, এই যুদ্ধ বন্ধ হবে হবে কবে? ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার সকালে নিজস্ব সামাজিকমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে তিনি লেখেন, গাজায় চুক্তি করুন। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুন।
যুদ্ধের মূল উৎসাহদাতা ট্রাম এই ঘোষণা দিলেও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে না। ইসরায়েলের বিমান হামলা ও বন্দুকের গুলিতে গাজায় গত রোববারও তিন শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা। সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেছেন, গাজার চারটি স্থানে বিমান হামলায় ১৩ জন ও একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে বন্দুক হামলায় একজন নিহত হন। বাসাল আরো বলেন, গাজার জেয়তুন এলাকার একটি বাড়িতে বিমান হামলায় বাড়িটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে দুই শিশু নিহত হয়। আবদেল রহমান আজম নামের ওই পরিবারের একজন এএফপি বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দ শুনে দ্রুত ছুটে গিয়ে আগুন দেখতে পাই, বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমরা সেখান থেকে শহীদ দুই শিশু ও ২০ জন আহতকে উদ্ধার করেছি। তারা সতর্ককরণ ছাড়াই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমরা প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে ঘুমাতে যাই, জানি না জীবিত অবস্থায় ঘুম থেকে উঠতে পারব কি না।’ অন্যদিকে বাসাল বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনুস শহরে একটি আশ্রয় তাঁবুতে ড্রোন হামলায় এক শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছে এবং রাফা শহরের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে বন্দুক হামলায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ একজন নিহত হয়েছেন।’
হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ২০২৩ সাল থেকে চালানো ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬ হাজার ৪১২ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ নিহতের এই সংখ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য বলে জানিয়েছে।