gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১ জুলাই ২০২৫ ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj

❒ হলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর

ইতিহাসের ভয়াল রাত আজও জাতির মনে দগদগে ক্ষত
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১ জুলাই , ২০২৫, ০৯:৪৩:০০ এএম
ঢাকা অফিস:
GK_2025-07-01_686359692277a.jpg


নয় বছর পেরিয়ে গেল ২০১৬ সালের সেই বিভীষিকাময় রাতের। গুলশান ২ নম্বর এলাকার ৭৯ নম্বর সড়কে অবস্থিত ‘হলি আর্টিজান বেকারি’ রেস্টুরেন্টে সংঘটিত ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা আজও বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নাড়া দেয়।

সেদিন ছিল পবিত্র রমজান মাসের একটি রাত। স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে, অস্ত্রধারী একদল যুবক ঢুকে পড়ে অভিজাত এই রেস্তোরাঁয়। মূলত বিদেশি নাগরিকদের টার্গেট করে শুরু হয় বর্বর হত্যাযজ্ঞ। মুহূর্তেই রেস্তোরাঁজুড়ে শুরু হয় গুলির শব্দ, বিস্ফোরণ আর চিৎকার।

সেই রাতেই জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারান ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয়, ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ২ জন পুলিশ কর্মকর্তা—মোট ২৩ জন। নিহত পুলিশ কর্মকর্তারা ছিলেন ডিবির তৎকালীন সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাহউদ্দিন।

আরও পড়ুন...

উদ্ধার একশ’ কেজি গাঁজার চালানে মিন্টুর সাথে আর কারা জড়িত?

যশোর পৌর কাউন্সিলর বাবুলকে আবারও ছুরিকাঘাত


পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর ‘থান্ডার বোল্ড’ নামে পরিচিত প্যারা-কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় হামলায় জড়িত পাঁচ জঙ্গি—রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সামীহ মোবাশ্বীর, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং খায়রুল ইসলাম পায়েল।

হামলার পর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। তদন্তের দায়িত্ব নেয় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। চার বছরের তদন্ত শেষে ২০১৮ সালে আটজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে বড় মিজানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।

২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। এরপর ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর হাইকোর্ট সেই রায় পুনর্বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধি, আসলাম হোসেন, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।

হামলার দুই বছর পর, ঘটনাস্থল ‘হলি আর্টিজান’ রেস্টুরেন্ট ভেঙে ফেলা হয়। বর্তমানে সেখানে একটি শোকস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিবছর ১ জুলাই এই স্থানে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ইতালি, জাপানসহ বিভিন্ন দূতাবাসও সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এছাড়া, নিহত পুলিশ কর্মকর্তাদের স্মরণে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন। তবে এই ঘটনার স্মরণে পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা কোনো কর্মসূচি নেই।

আরও খবর

🔝