gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১ জুলাই ২০২৫ ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj

❒ ইরানে নতুন কড়া আইন:

শত্রু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১ জুলাই , ২০২৫, ১২:০৩:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2025-07-01_68637a24d8e64.jpg

ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে একটি নতুন কঠোর আইন পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। একই আইনে স্টারলিংকের মতো অননুমোদিত ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করাকেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

নতুন আইন অনুযায়ী, “যদি কেউ দেশের নিরাপত্তা বা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে শত্রু রাষ্ট্র বা তাদের এজেন্টদের হয়ে গোয়েন্দা বা অন্য কোনো কার্যক্রম চালায়, তাহলে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।” এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারও কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করতে হলে ওয়াশিংটনকে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনো সামরিক হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানছি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।

তাখত-রাভানছি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে জানিয়েছে তারা আলোচনায় ফিরতে চায়। কিন্তু আলোচনার পরিবেশ বজায় রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আগ্রাসী মনোভাব ত্যাগ করতে হবে।”

আরও পড়ুন...

দেশজুড়ে বিএনপি, এনসিপি ও জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা


সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হয়েছিল ১৩ জুন। ওই ঘটনার মাত্র দুই দিন পর ওমানের মাস্কাটে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ষষ্ঠ দফার আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু ওই আলোচনা এখন অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।

তাখত-রাভানছি জানান, ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে এবং তারা গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে—এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “গবেষণা কার্যক্রমের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা না পাওয়ায় ইরানকে নিজের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “তুমি যদি বলো, তোমার কোনো সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থাকবে না, থাকবে শূন্য মাত্রায়, না হলে তোমার ওপর বোমা ফেলব—এই ধরনের কথা জঙ্গলের আইন ছাড়া আর কিছুই নয়।”

ইসরায়েল ইতোমধ্যেই ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে এবং একাধিক সামরিক বিজ্ঞানী ও কমান্ডারকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ১২ দিনের এই সংঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। তবে এসব হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও খবর

🔝